হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
পুজোর দিনগুলির ট্রেনের টিকিট খোলার মুহূর্তের মধ্যেই তা বিক্রি হয়ে যায়। ৯ অক্টোবর অর্থাৎ মহাষষ্ঠীর দিনের ট্রেনের টিকিট কাটা শুরু হয় গত ১১ জুন সকাল আটটায়। টিকিট কাটা শুরু হওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই সিংহভাগ ট্রেনের টিকিট শেষ হয়ে যায়। বর্তমান ৯ অক্টোবর তারিখের উত্তরবঙ্গ গামী সিংহভাগ ট্রেনের টিকিটই ওয়েটিং লিস্টে রয়েছে। যেমন, শিলচর কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস, নিউ জলপাইগুড়ি শতাব্দী একপ্রেস, তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস। অন্যদিকে সরাইঘাট এক্সপ্রেস, কামরূপ এক্সপ্রেস, উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস, কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস, দার্জিলিং মেল, পদাতিক এক্সপ্রেসের টিকিট ‘সোল্ড আউট’ হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি ১০ অক্টোবর মহাসপ্তমী, ১১ অক্টোবর মহাঅষ্টমী থেকে লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত উত্তরবঙ্গগামী ট্রেনগুলোতে টিকিটের রীতিমতো হাহাকার অবস্থা। অগত্য বাধ্য হয়ে অনেকেই ওয়েটিং লিস্টে থাকা একাধিক ট্রেনের টিকিট আগাম কেটে রাখছেন।
আইআরসিটিসির এক আধিকারিক বলেন, পুজোর কটা দিন উত্তরবঙ্গের ট্রেনের ব্যাপক চাপ রয়েছে। অনেক ট্রেন সোল্ড আউট হয়ে গিয়েছে।
একই অবস্থা উত্তরবঙ্গ ও সিকিমের হোটেলগুলোরও। সেখানে ঘর পাওয়া বর্তমানে দুষ্কর হয়ে পড়েছে। দার্জিলিং, গ্যাংটক তো দূর, আশপাশের এলাকাতেও রুম খালি পাওয়া যাচ্ছে না। মূলত সেগুলি ১৬০০ থেকে ১৮০০ টাকার রুম। কোনও হোটেলে হাতেগোনা দু-তিনটে রুম খালি পাওয়া গেলেও তার লম্বা দর হাঁকাচ্ছেন হোটেল মালিকরা। পেলিং, গ্যাংটক কিংবা দার্জিলিংএর মতো পর্যটনকেন্দ্রে ঘর পাওয়া গেলেও তার দাম, খাওয়া খরচ বাদে ২৪০০ থেকে ২৬০০ টাকা। সবমিলিয়ে ট্রেনের টিকিট কিংবা হোটেলের ঘর খুঁজতে গিয়ে নাকানিচোবানি খেতে হচ্ছে পর্যটকদের।
এক দম্পতি সৌরভ মালিক ও সোনালি গায়েন বলেন, পুজোর ক’টা দিন এবার সিকিমে কাটাব। পঞ্চমীর দিনের ট্রেনের টিকিট ছাড়ার তিন মিনিটের মধ্যে আমরা টিকিট কেটেছিলাম। তাতেও ওয়েটিং পেয়েছি। আশা করছি টিকিট কনফার্ম হয়ে যাবে। সবচেয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে হোটেল খুঁজতে গিয়ে।
কৃষ্ণনগরের ট্যুর অপারেটর কুণাল চৌধুরী বলেন, এবার উত্তরবঙ্গে পর্যটকদের চাপ ভালোই রয়েছে। আমাদের সঙ্গে অনেকেই যোগাযোগ করেছেন। সেইমতো আমরা ব্যবস্থা করছি। কিন্তু আর কিছুদিন পর তাও করা যাবে না।