হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
উল্লেখ্য, দেশপ্রাণ ব্লকের দারিয়াপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন এই বাঁকিপুট এলাকা। কাঁথি থেকে জুনপুট কিংবা মুকুন্দপুর হয়ে বাঁকিপুটে আসা যায়। বাঁকিপুটের সুবিধা হল, কাছেই সমুদ্র। এখানে সেচদপ্তর সমুদ্রবাঁধ কংক্রিট দিয়ে বাঁধানোর সময় গার্ডওয়ালের গায়ে বসার আসনের কাঠামো তৈরি করেছে। ভ্রমণপ্রিয় মানুষজন সেখানে বসে সময় কাটান। গার্ডওয়ালের গায়ে রয়েছে বটগাছের সুশীতল ছায়া। কাছাকাছি হোটেল-লজ না থাকলেও প্রায় এক কিলোমিটার দূরে গোপালপুরে একটি রিসর্ট, দুই কিলোমিটার দূরে জুনপুটে দু’টি রিসর্ট রয়েছে। বাঁকিপুটে বেড়াতে এলে উপরি পাওনা হল, কাছেই রয়েছে সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের স্মৃতিবিজড়িত কপালকুণ্ডলা মন্দির। রয়েছে লাইট হাউস। অদূরেই রসুলপুর নদী, যে নদীতে নৌকায় আসার পর কপালকুণ্ডলা উপন্যাসের অন্যতম প্রধান চরিত্র নবকুমার পথভ্রষ্ট হয়ে দারিয়াপুরের জঙ্গলে এসেছিলেন। সেখানে তিনি কাপালিকের দেখা পেয়েছিলেন। রসুলপুর নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় পেটুয়াঘাটে রয়েছে দেশপ্রাণ মৎস্যবন্দর। সেখানে ঘুরতে এলে মৎস্যবন্দরে মৎস্যজীবীদের নানা কর্মকাণ্ড দেখার সুযোগ রয়েছে। নদী পেরিয়ে ওপারে খেজুরির নিজকসবায় রয়েছে পাঁচ শতাধিক বছরের প্রাচীন মসনদ-ই-আলার মাজার। আর একটু এগিয়ে গেলে খেজুরিতে দেশের প্রথম ডাকঘরের ভগ্নাবশেষ সহ অন্যান্য দ্রষ্টব্য স্থান দর্শনের সুযোগ রয়েছে। ভ্রমণের রুটিনে খেজুরির এই ছোট্ট এলাকাকে অনায়াসেই যোগ করা যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা সূর্যনারায়ণ জানা বলেন, বাঁকিপুটে ভ্রমণপ্রিয় মানুষের ভিড় বাড়ছে। এলাকায় সরকারি উদ্যোগে রিসর্ট ও আনুষাঙ্গিক পরিকাঠামো গড়ে তোলা হলে খুবই ভালো হবে। স্পটটির গুরুত্ব বাড়বে এবং পর্যটকরা এখানে রাত্রিবাস করার সুযোগ পাবেন। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অমলেন্দু জানা বলেন, বাঁকিপুট পর্যটকদের কাছে যে জনপ্রিয়, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। বাঁকিপুটে পর্যটনের পরিকাঠামো গড়ে তোলা প্রয়োজন।
এর আগে এ ব্যাপারে স্কিম তৈরি করে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে পর্যটন দপ্তরের কাছে পাঠানো হয়েছে। আশা করছি, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। স্থানীয় পঞ্চায়েত কিংবা পঞ্চায়েত সমিতির মাধ্যমে কী পরিকাঠামো গড়ে তোলা যায়, সেটা নিয়েও আমরা আলাপ আলোচনা করছি।