হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
এদিন রানিরঘাটে নবদ্বীপ ব্যবসায়ী সমিতির তরফে পুজো করা হয়। পাশাপাশি বড়ালঘাটে ফেরিঘাট, ফাঁসিতলা ঘাটে মৎস্যজীবীরা এবং শ্রীবাস অঙ্গনঘাটে নবদ্বীপ, সমুদ্রগড়, পূর্বস্থলী থেকে সব্জি বিক্রেতারা প্রতিমা এনে গঙ্গা পুজো করেন। এদিন প্রতিটি ঘাটেই ছিল কড়া পুলিসি নিরাপত্তা। জলপথে স্পিড বোট নিয়ে নজরদারি চালানো হয়।
নবদ্বীপ পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রীবাসঅঙ্গন চড়ার বৃদ্ধা বাসন্তী পাল বলেন, আমি ও আমার স্বামী বছরভর পুতুল তৈরি করি। প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে এই মাটির কাজের সঙ্গে যুক্ত। সকাল থেকে মোটামুটি বিক্রি হয়েছে। তবে আগের মতো তেমন বিক্রি নেই।
কৃষ্ণনগরের ঘূর্ণি থেকে পুতুল বিক্রি করতে এসেছিলেন গৌতম মণ্ডল। তিনি বলেন, আমরা ঘূর্ণি থেকে এখানে দোকান নিয়ে এসেছি। ছোটদের খেলার মাটির তৈরি রান্নার সরঞ্জাম হাঁড়ি, কড়াই, বালতি, হাতা, খুন্তি এই সব বিক্রি করছি। প্রতি পিস পাঁচ টাকা দামে বিক্রি করছি। ছোটবেলার হারিয়ে যাওয়া স্মৃতি বলতে পারেন।
আর এক পুতুল বিক্রেতা কৃষ্ণনগর আনন্দময়ী তলার বাসিন্দা বিশ্বনাথ ঘোষ বলেন, মাটির পুতুল বর বউ, হনুমান, বিভিন্ন গাছ পাখি বিক্রি করছি। এই পুতুল বিক্রি করেই আমাদের সংসার চলে।
কৃষ্ণনগর মালোপাড়া বাসিন্দা কার্তিক হালদার, সোমনাথ হালদার বলেন, আমাদের মাছের ব্যবসা আছে। প্রতি বছরের মতো এবারও বউ, ছেলেমেয়ে, আত্মীয় স্বজন সবাইকে নিয়ে গঙ্গাপুজোয় এসেছি।
মালোপাড়া থেকে পরিবারের সঙ্গে এসেছিলেন গৃহবধূ দেবযানী হালদার। তিনি বলেন, এবার ২০ জন এসেছি। আমাদের এখানে ধর্মরাজ ও গঙ্গাপুজো হচ্ছে।
নবদ্বীপ সংলগ্ন পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলীর বাসিন্দা নিতাই সাহা বলেন, পূর্বস্থলী, নবদ্বীপ, সমুদ্রগড় সব্জি ভেন্ডার সমিতির তরফে নবদ্বীপের শ্রীবাস অঙ্গনঘাটে এই পুজো হয়ে থাকে। কাটোয়া থেকে খামারগাছি পর্যন্ত সব্জি বিক্রেতারা এই পুজো করেন। পুজোয় চণ্ডীপাঠ, ভাগবতপাঠ হবে। তারপর নবদ্বীপের পোড়ামাতলায় পুজো দিয়ে এসে ঘাটে গঙ্গা মাতার পুজো আরতি হবে।
নবদ্বীপ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিরঞ্জন দাস বলেন, প্রায় ৬৫ বছর ধরে সমিতির এই পুজো হয়ে আসছে। আগেকার দিনে জলপথে ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য গঙ্গাপুজো করতেন। সেই থেকেই গঙ্গাপুজো হয়ে আসছে ধুমধাম করে।
জেলার অন্যান্য জায়গার মতো শান্তিপুরেও ভাগীরথীর বিভিন্ন ঘাটে গঙ্গাপুজো ও পুণ্যস্নানে মাতেন পুণ্যার্থীরা। শান্তিপুরের বড়বাজার ঘাট, নৃসিংহপুর ঘাট, গুপ্তিপাড়া ঘাট মিলিয়ে প্রায় ১৬টি গঙ্গাপুজোর আয়োজন করা হয়েছিল।