বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, মৃতের নাম রজনীকান্ত কুমার (২৬)। তাঁর বাড়ি বাঘমুণ্ডি থানার ভেলাইটাঁড় গ্রামে। বনদপ্তরের গাড়ি চালাতেন তিনি। শনিবার ভোরে বাঘমুণ্ডির রেঞ্জ অফিসার ট্রেন ধরার জন্য তাঁর গাড়িতে পুরুলিয়ায় আসেন। বাঘমুণ্ডি ফেরার পথে বলরামপুরের আমরুহাসা সেতুর কাছে ট্রেলারের সঙ্গে রজনীকান্তবাবুর গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। গাড়িটি দুমড়েমুচড়ে যায়। পুলিস তাঁকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে বাঁশগড় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখান থেকে পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে মৃত যুবকের পরিবারের লোকজন এবং বনদপ্তরের কর্মীরা পুরুলিয়ায় পৌঁছন। এদিনই পুরুলিয়া দেবেন মাহাত গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়।
মৃত গাড়ি চালকের খুড়তুতো দাদা ফাল্গুনী কুমার বলেন, ভাই দীর্ঘদিন ধরে বনদপ্তরের গাড়ি চালাত। শনিবার ভোর সাড়ে ৩টে নাগাদ বাঘমুণ্ডির রেঞ্জারকে নিয়ে গাড়ি চালিয়ে পুরুলিয়ায় যায়। পুরুলিয়া থেকে ফেরার পথে বলরামপুরে ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটে। তাঁর বাড়িতে স্ত্রী ছাড়াও বাবা-মা ও ভাই রয়েছে। মিশুকে স্বভাবের রজনীকান্তবাবুর সঙ্গে বনকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের ভালো সম্পর্ক ছিল। আচমকা দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
শুক্রবার বলরামপুরে বাস ও লরির সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন জখম হয়েছিলেন। তারপরই শনিবার এই দুর্ঘটনা ঘটে। বলরামপুরে পরপর পথদুর্ঘটনায় এলাকার বাসিন্দারা উদ্বিগ্ন।