মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
এদিন গলসির বিভিন্ন বুথে ঘোরেন তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল। তিনিও ভোট কেন্দ্রগুলিতে মহিলাদের লাইন দেখে আত্মবিশ্বাসী। তৃণমূল প্রার্থী বলেন, বিজেপি মহিলাদের অপমান করেছে। মহিলাদের উন্নতির জন্য কোনও প্রকল্প তারা আনেনি। এসব কিছুর জবাব ইভিএমে ভোটাররা দিয়েছেন। গলসি-২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি সাবিরউদ্দিন আহমেদ বলেন, এদিন গোহগ্রাম, দাদপুর, বেলগ্রাম সহ বিভিন্ন গ্রামে গিয়েছি। শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে। তারপরও বিজেপি বহু বুথে এজেন্ট দিতে পারেনি। সকালের দিকে তবুও কিছু বুথে ওদের এজেন্ট ছিল। দুপুরের পর থেকে আর তাঁদের দেখা যায়নি। ভোটারদের মনোভাব ওরা আঁচ করতে পেরেছে। সেকারণে আগেই ময়দান ছেড়েছে।
বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, গলসির ওই সাতটি পঞ্চায়েত খণ্ডঘোষ বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে। এখানকার ১৭১টি বুথের মধ্যে মাত্র ২৫টিতে আমাদের এজেন্ট ছিল না। বাকি সব বুথেই এজেন্ট ছিল। তৃণমূল অনেক জায়গায় এজেন্টদের বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। নির্বাচন কমিশনের অভিযোগ জানানোর পর কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে এজেন্টদের ঢুকিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ভোট দিতে কোথাও অসুবিধা হয়নি। বুথের বাইরে রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা ঘুরে বেড়ালেও ভিতরে তারা প্রভাব দেখাতে পারেনি। এবারের ভোটের লাইনে মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। ভোট দেওয়ার পাশাপাশি তারা শাসকদলের হয়ে ভোট করিয়েছে।
ভুড়ি এলাকার তৃণমূল কর্মী আলপনা দাস বলেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প মহিলাদের আত্মসম্মান বাড়িয়েছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যা হয়ে মহিলারা উপায় করতে পারছেন। এসব কারণেই মহিলারা তৃণমূলের হয়ে ভোট করছেন। এদিন সকালে বাড়ির কাজ সেরে ভোট দিতে এসেছিলাম।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, গলসি এলাকায় শাসকদলের বিরুদ্ধে তারা একাধিক ইস্যু পেয়েছিল। এই এলাকার বালি মাফিয়াদের নিয়ে তারা সরব হয়। শাসকদলের অনিয়ম তাদের হাতিয়ার ছিল। কিন্তু এসব কিছুই তারা ভোটের দিন কাজে লাগাতে পারেনি। তবে এই এলাকায় শাসকদলেরও টানাপোড়েন রয়েছে। ভোটের দিন দলের একাংশকে সেভাবে ময়দানে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ।
তৃণমূলের এক নেতা বলেন, সব নেতার উপর নজর রাখা হয়েছিল। কে কী করেছে তার রিপোর্ট নেতৃত্বের কাছে রয়েছে। ভোটের পর সেইমতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।