গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বহরমপুর কেন্দ্রে মোট ভোট পড়েছে ৭৭.৫৪ শতাংশ। তার মধ্যে ৭৩.৬১ শতাংশ পুরুষ, ৮১.৬২ শতাংশ মহিলা ভোটার ভোট দিয়েছেন। পুরুষের থেকে মহিলাদের ভোটদানে উৎসাহ দেখেছে রাজনৈতিক মহল। এই ভোটারদের মধ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, রূপশ্রী, কন্যাশ্রী, বিধবা ভাতা প্রাপকের সংখ্যা প্রায় সাত লক্ষ। ফলে রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পের প্রভাব ভোটবাক্সে মিলেছে বলে মনে করছে তৃণমূল। তীব্র গরমের মধ্যে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দীর্ঘ লাইন দিয়ে যেভাবে উচ্ছ্বাসের সঙ্গে মহিলারা ভোট দিয়েছেন, তা যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
এবার তৃণমূলের তারকা প্রার্থী ইউসুফ পাঠানের বিরুদ্ধে পাঁচবারের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী ও বহরমপুরের নামকরা চিকিৎসক নির্মল সাহা বিজেপি প্রার্থী হিসেবে লড়াই করছেন। অধীরের পিচে পাঠান ছক্কা হাঁকাবেন, নাকি নির্মলবাবু রান তুলবেন সেটাই এখন দেখার। নির্বাচনের পর থেকে জয়ের ব্যাপারে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত অধীর চৌধুরী। যে কায়দায় তিনি ভোট করাতে চাইছিলেন, সেটাই সফল হয়েছে বলেই দাবি কংগ্রেস নেতৃত্বের। কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী বলেন, জয়ের ব্যাপারে আমরা ১০০ শতাংশ নিশ্চিত। অধীর চৌধুরীর এবারের মার্জিন গতবারের থেকেও বাড়বে। লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধান নিয়ে তিনি ডাবল হ্যাটট্রিক করে আবার সাংসদে যাবেন।
বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা অশোক দাস বলেন, ভোটের অঙ্ক বলছে ইউসুফ পাঠান জিতে গিয়েছেন। যে বিপুল সংখ্যক মহিলা উৎসাহের সঙ্গে ভোট দিয়েছেন, তাতে আমরা নিশ্চিত, এই ভোট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রার্থীর দিকেই হয়েছে। উন্নয়নমুখী প্রকল্পের জন্য মহিলারা ইউসুফ পাঠানকে দু’হাত ভরে আশীর্বাদ করেছেন।
বহরমপুরে বিজেপি সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, এবার বহরমপুরে পরিবর্তন আসছে। প্রখ্যাত চিকিৎসক তথা আমাদের প্রার্থী নির্মল সাহা বিপুল মানুষের জনসমর্থন আদায় করেছেন। মহিলা, পুরুষ এবং নতুন ভোটার সকলেই নির্মলবাবুকে ভোট দিয়েছেন। সকলেই মোদিজির হাতকে শক্ত করতে এবং বহরমপুরকে বিকশিত ভারতের অংশ বানাতে চাইছেন। আমরা বিজয় উৎসবের জন্য অপেক্ষা করছি।