গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
পেশায় চিকিৎসক শর্মিলা কলকাতায় রোগী দেখেন। ভোটের পর এখন মাঝেমধ্যেই দমদমে গিয়ে রোগী দেখছেন। তবে কাটোয়ার অগ্রদ্বীপের বাড়ি শর্মিলার কাছে একটা আদর্শ জায়গা। কারণ এখানেই তাঁর শৈশব কেটেছে। ব্যস্ততা নয়, আমগাছে ঘেরা বাড়িতে তিনি সময় কাটাচ্ছেন। মা-বাবা, স্বামী ও মেয়েকে নিয়েই নিশ্চিন্তে আছেন তিনি। ভোটের জন্য কয়েকদিন পরিশ্রম করতে হয়েছে। এখন অনেকটা স্বস্তি মিলেছে। ৪০-৪২ডিগ্রি তাপমাত্রাতেও হুডখোলা জিপে গ্রামের পর গ্রাম চষে বেড়াতে হয়েছে তাঁকে। তীব্র গরমেও তাঁকে সবসময় শরীর ফিট রাখতে হয়েছে। এখন গণনা বাকি রয়েছে। তার আগে মানসিক চাপ কমাতে বইয়ের পাতা ওল্টাচ্ছেন শর্মিলা। শর্মিলা বলেন, আমার গল্পের বই পড়তে ভালোলাগে। বিশিষ্ট লেখক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের লেখা আমার খুব প্রিয়। বাড়িতে পুরনো ‘হাঁদা-ভোঁদা, ‘নন্টে-ফন্টে’, ‘শুকতারা’ সহ নানা হাসির বই পড়েই সময় কাটছে। কয়েকদিন আগে চিকিৎসা সংক্রান্ত একটা কনফারেন্সে যোগ দিয়েছিলাম। দলের কাজ তো রয়েছেই। তাছাড়া স্বামী ও মেয়েকে নিয়েও সময় কাটছে। নিজের জয়ের বিষয়ে আমি আশাবাদী।
কাটোয়ার গ্রামের মেয়ে শর্মিলা কর্মসূত্রে কলকাতায় দীর্ঘদিন রয়েছেন। তবে ভোটে প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার পর তাঁকে নিজের গ্রাম অগ্রদ্বীপে ফিরে আসতে হয়েছে। পুরনো সেই দিনের কথা এখনও তাঁকে স্মরণ করাচ্ছেন প্রতিবেশীরা। পুকুরপাড়, আমগাছ, নৌকা পেরিয়ে নদীর এপার-ওপার সহ সব শৈশবের কথা মনে পড়ছে প্রার্থীর। শর্মিলা বলেন, পুরানো দিনের বান্ধবীদের সঙ্গেও আড্ডা, গল্প করে সময় কেটে যাচ্ছে। তবে মাঝেমধ্যে ভোটের রেজাল্ট নিয়েও একটু চিন্তা মনে আসছে।
কাটোয়া বিধানসভায় এবার লিড বাড়বে বলে দাবি শাসকদলের নেতাদের। তৃণমূলের দাবি, শহরেও এবার তুলনামূলকভাবে ভালো ফল হবে। তাছাড়া কাটোয়া-২ ব্লকের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে শাসকের ঘরে ভোটব্যাঙ্ক ফিরবে। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের সময় বেশকিছু অঞ্চলে ভালো লিড পায়নি শাসকদল। এবার সেসব অঞ্চলেও তুলনামূলকভাবে লিড বাড়বে। কাটোয়া শহর যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিজয় অধিকারী বলেন, শহরে বিজেপির ভাঁওতাবাজিতে আর কেউ পা দেবেন না। আশা করছি এবার আমরা শহরে ভালো লিড দেব। বিজেপির কাটোয়া সাংগঠনিক জেলার মিডিয়া সেলের ইনচার্জ অশোক রায় বলেন, আমাদের এবার সামগ্রিকভাবে ভালো ফল হবে। কাটোয়া শহরেও মানুষ তৃণমূলকে ভোট দেবেন না। আমাদের প্রার্থী অসীম সরকারের জয়ের বিষয়ে আমরা আশাবাদী।