প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
কাঁথি উত্তর ও দক্ষিণ বিধানসভা এলাকা থেকে কর্মী-সমর্থকদের ওই কর্মসূচিতে আনবে তৃণমূল। এজন্য প্রয়োজনীয় যানবাহনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। গত তিন-চারদিন এনিয়ে দফায় দফায় সভা, প্রস্তুতি মিটিং সেরে রেখেছেন নেতৃত্ব। কর্মীদের মনোবল তুঙ্গে তোলার পাশাপাশ মুখ্যমন্ত্রী এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কাঁথিতে দলের নেতাদেরও এক সুরে বাঁধতে চাইছেন। উত্তম বারিকের সমর্থনে কাঁথি সাংগঠনিক জেলার নেতারা যাতে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াইয়ে শামিল হন সেই নির্দেশও নেত্রী দেবেন। কাঁথিতে এবার তৃণমূল এবং বিজেপি দু’দলের কাছে প্রেস্টিজ ফাইট। ২০০৯সাল থেকে টানা তিনবার এই কেন্দ্রে জয়ী তৃণমূল। কিন্তু, তিনবারের সাংসদ শিবির বদল করে প্রতিপক্ষ দলে যোগ দিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবে মর্যাদা রক্ষার লড়াই। অপরদিকে, বিজেপির কাছে কাঁথি অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। নিজেদের অস্তিত্ব প্রমাণ দিতে এই আসনকে পাখির চোখ করেছে তারা।
পটাশপুরের বিধায়ক এবং জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিককে কাঁথি লোকসভা আসনে প্রার্থী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। রবিনহুড ইমেজ এবং ভালো জনসংযোগের জন্য অল্পদিনেই পার্টিতে তাঁর দ্রুত উত্থান ঘটেছে। যদিও দ্রুত উত্থান পার্টির নেতাদের একাংশ ঈর্ষাকাতর হয়ে পড়েছেন। তাই আগামী ২৫মে ভোটের আগে কাঁথির তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের মধ্যে ঐক্য আনা জরুরি। প্রার্থীকে জেতানোর অঙ্গীকার করে লড়াইয়ে নামলে লড়াই অনেকটা সহজ। ২০২১সালে কাঁথি উত্তর ও কাঁথি দক্ষিণ আসন তৃণমূলের হাতছাড়া হয়েছে। এই পরাজয়ের নেপথ্যে অন্তর্ঘাত ছিল বলে দলের একটা অংশ এখনও এই বক্তব্যে অনড়। ওই লোকসভার অধীন খেজুরি এবং ভগবানপুর হাতছাড়া হয়েছে। তাই কঠিন লড়াইয়ে নামার আগে নেতৃত্বের মধ্যে একতা আনাটা জরুরি।
কাঁথি লোকসভায় মোট ভোটার ১৭লক্ষ ৯৫হাজার ৭১৩জন। মহিলা ভোটার সংখ্যা ৮লক্ষ ৭১হাজার ৪৬০জন। তাঁদের অধিকাংশ লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের উপভোক্তা। উপকূলবর্তী এই এলাকার মৎস্যজীবীদের জন্য সমুদ্রসাথী প্রকল্প চালু হয়েছে। ব্যান পিরিয়ডে সমুদ্রে মৎস্য শিকার বন্ধ থাকাকালীন মৎস্যজীবীরা দু’মাসে ১০হাজার টাকা পাবেন। এছাড়াও বদলে যাওয়া দীঘা এবং দীঘা-শৌলা মেরিন ড্রাইভ তৃণমূলের ভোটপ্রচারের পুঁজি। গত ১৩বছরে পূর্ব মেদিনীপুরে পরিকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি সরকারি পরিষেবায় লক্ষ লক্ষ মানুষ উপকৃত। এই অবস্থায় প্রার্থীকে সামনে রেখে দলের নেতারা জোটবেঁধে লড়াই করলে বিজেপিকে মোকাবিলা সহজ। কিন্তু, কাঁথি সাংগঠনিক জেলার নেতাদের এক সুতোয় বাঁধার কাজটা এখনও সেভাবে হয়নি। তাই আজ কাঁথি শহরে এসে মুখ্যমন্ত্রী নেতৃত্বকে এক সুরে বাঁধতে বার্তা দেবেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের কাঁথি দক্ষিণ বিধানসভা নির্বচনী কমিটির চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতির্ময় কর বলেন, স্বাধীনতার পর এই প্রথম কোনও মুখ্যমন্ত্রী কাঁথি শহরে রোড-শো করবেন। কাঁথি উত্তর ও দক্ষিণ বিধানসভা এলাকা থেকে লোকজন আনার উদ্যোগ নিয়েছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কর্মসূচি থেকে কর্মীরা অনেকটাই উজ্জীবিত হয়ে বাড়ি ফিরবেন।