প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
২০২১সালে বিধানসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সময় চণ্ডীপুরে ঘরভাড়া নিয়ে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সোহম। ভোটে জেতার পর গোড়ার দিকে সপ্তাহে অন্তত একবার নিজের বিধানসভায় আসতেন। তারপর এখানকার বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে ঠিকমতো বনিবনা না হওয়ায় যাতায়াত কমে। এখন মাসের পর মাস কেটে গেলেও তাঁকে চণ্ডীপুরে বিশেষ দেখা যায় না। এবিষয়ে সোহমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি স্টার ক্যাম্পেনার হিসেবে উত্তরবঙ্গে প্রচার করেছি। তারপর সানস্ট্রোকে অসুস্থ হই। হাসপাতালেও ভর্তি ছিলাম। বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি কাঁথি লোকসভা ও এগরায় আমাকে প্রচারের নির্দেশ দিয়েছেন। এই ক’দিন সেটাই করব।
থানায় যাওয়ার রাস্তায় জাতীয় সড়কের ধারে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে সেখানেই বিধায়ক কার্যালয় খুলেছেন সোহম। ওই অফিসে মাইনে দিয়ে তিনজন হোল টাইমার রেখেছেন। তাঁরা বিধায়ক কার্যালয়ে আসা লোকজনকে সার্টিফিকেট তুলে দেন। ২০২১সালে বিধানসভা ভোটের ফলাফলের নিরিখে কাঁথি লোকসভার অধীন সাতটি বিধানসভার মধ্যে মাত্র তিনটিতে এগিয়ে তৃণমূল। সেই তিনটি হল, চণ্ডীপুর, পটাশপুর ও রামনগর। এই আসন দখল করতে মরিয়া হয়ে নেমেছে বিজেপি। তৃণমূল কংগ্রেসকে ভালো ফলের জন্য ২০২১-এর বিধানসভার রেজাল্টের চেয়েও ভালো ফল করতে হবে। সেই হিসেবে এগিয়ে থাকা বিধানসভা এলাকায় ফল ধরে রেখে আরও ভালোর দিকে এগোতে হবে।
চণ্ডীপুর ব্লক তৃণমূল নেতা স্নেহাংশুশেখর পণ্ডিত বলেন, এখনও পর্যন্ত বিধায়ক একটিও প্রচারে অংশ নেননি। দীর্ঘদিন নিজের বিধানসভা এলাকায় আসেননি। চণ্ডীপুরের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়ছে। এনিয়ে সাধারণ কর্মীরা আমাদের নানা প্রশ্ন করছেন। জালপাই গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান অনিমেষ দাস বলেন, বিধায়ক স্টার ক্যাম্পেনার হিসেবে উত্তরবঙ্গে প্রচারে বেরিয়েছিলেন। তারপর কিছুদিন অসুস্থ ছিলেন। তিনি চণ্ডীপুরে সময় দিতে পারেননি। তাতে আমাদের প্রচার থেমে নেই। ২০২১সালে আমরা ১৩হাজার ৪৭২ভোটে জয়ী হয়েছিলাম। এবার সেই মার্জিন ২০হাজার অতিক্রম করবে।
বিজেপির কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের কো-কনভেনার মানসকুমার রায় বলেন, সোহম মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে চণ্ডীপুর থেকে জয়ী হয়েছিলেন। তিনি প্রতিশ্রুতি রক্ষায় ব্যর্থ বলেই মানুষের মুখোমুখি হতে ভয় পাচ্ছেন। চণ্ডীপুরের শিক্ষিত সচেতন মানুষ বারবার ভুল করবেন না।