প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
ওই যাত্রী টয়লেটে আটকে পড়ার পর ফোন করে ট্রেনে থাকা বাড়ির লোকজনকে বিষয়টি জানান। তিনি বাইরে থেকে দরজা খোলার কথা বলেন। কিন্তু, বাড়ির লোকজন বাইরে থেকে দরজা খোলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এরপর তাঁরা ট্রেনে কর্মরত টিটিকে বিষয়টি জানান। টিটি কোনওকিছু করতে না পেরে শেষপর্যন্ত পাঁশকুড়া-দীঘা লাইনের কমার্শিয়াল ইন্সপেক্টরকে (সিআই) বিষয়টি জানান। টয়লেটে আটকে পড়ে আতঙ্কে ওই যাত্রী ভিতর থেকে চিৎকার-চেঁচামেচি করেন। আওয়াজ করে সাহায্য চান। বাইরে থেকেও দরজা খোলা যাচ্ছিল না। এভাবেই একের পর এক স্টেশন পার হলেও ওই যাত্রীকে আটকেই ছিলেন।
কর্মাশিয়াল ইন্সপেক্টর তমলুক স্টেশনে জিআরপি কর্মী রাজু পাটলাকে ফোন করে বিষয়টি জানান। শেষমেশ তমলুক স্টেশনে ট্রেন ঢোকার পর শাবল দিয়ে ডি-৩ কামরায় ওই টয়লেটের দরজা ভেঙে বের করা হয় যাত্রীকে। ৫০মিনিট পর ভিতরে আটকে পড়া যাত্রীকে বের করে আনা হয়। তমলুক স্টেশনে ওই যাত্রীকে নামিয়ে চোখে-মুখে জল দেওয়া হয়। তারপর পরিবারের লোকজন মণিকান্তকে নিয়ে ফের ওই ট্রেনে চড়ে দীঘা রওনা দেন। এজন্য তমলুক স্টেশনে ১০মিনিট তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেস দাঁড়িয়েছিল।
টয়লেটে যাত্রী আটকে পড়ার খবর ট্রেনের যাত্রীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। তমলুকে স্টেশনে উদ্ধারকাজ দেখার জন্য অন্য কামরা থেকে যাত্রীরা এসে ভিড় করেন। ভিতরে আটকে থাকা ওই যাত্রী ভয়ে সিঁটিয়ে গিয়েছিলেন। কামরার মধ্যে বাড়ির লোকজনও তাঁর এই অবস্থা দেখে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। দীঘা বেড়াতে যাওয়ার পথে এরকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে ভাবেননি মণিকান্তর পরিবার।তমলুক স্টেশনের ম্যানেজার প্রশান্তকুমার রায় বলেন, বাথরুমের দরজা কোনওভাবে বিগড়ে গিয়ে বিপত্তি হয়েছিল। তমলুক স্টেশনে ওই যাত্রীকে বের করে আনা হয়। দশ মিনিট ট্রেন থেমেছিল। তারপর ফের তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেস দীঘার উদ্দেশে রওনা দেয়।-নিজস্ব চিত্র