প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
পুরশুড়ার সাঁওতা এলাকায় বুধবার সকাল থেকেই উৎসবের মেজাজ ছিল। বিভিন্ন বিধানসভা এলাকা থেকে বাসে করে কর্মীরা সভায় ভিড় করতে শুরু করেন। দুপুর ১টার মধ্যেই জনসভার মাঠ ভরে যায়। সভায় উপস্থিত ছিলেন আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি রামেন্দু সিংহ রায়, চেয়ারম্যান স্বপন নন্দী, করবী মান্না, অরূপ ধারার মতো বিধায়করা। সাড়ে ৩টের সময় সভা শুরু হয়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মঞ্চে এলে মহিলারা শঙ্খ বাজিয়ে উলুধ্বনি দিয়ে স্বাগত জানান। অভিষেক বলেন, এত ভালোবাসা পয়সা দিয়ে কেনা যায় না। আপনাদের কাছে ঋণী হয়ে থাকলাম। তিনগুণ সুদ-আসল দিয়ে উন্নয়ন দিয়ে যাব।
নরেন্দ্র মোদিকে নিশানা করে তৃণমূলের সম্পাদক বলেন, নির্বাচন বলে প্রধানমন্ত্রী গত দু’মাসে এখানে দু’বার এসেছেন। কিন্তু, কোভিডের সময় উনি কবার এসেছেন? আমি শুনেছি কৃষকদের জমি নষ্ট করে এখানে সভা হয়েছে। বিজেপি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করে দিতে চাইছে। ওদের এক নেত্রী বলেছে, বিজেপি জিতলে আগামী তিন মাসে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করে দেবে। আমি বলছি, দেশের প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি চাইলেও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করতে পারবেন না। আপনারা ১২ মাস লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাবেন। এটা আমাদের গ্যারান্টি।
সন্দেশখালি ইস্যু নিয়েও এদিন সুর চড়ান তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। তিনি বলেন, বিজেপি সন্দেশখালি নিয়ে বাংলার মান-সম্মান নষ্ট করেছে। সন্দেশখালির মহিলাদের মান, সম্ভ্রম নষ্ট করেছে। ওদের নেতারাই বলেছে সন্দেশখালিতে ধর্ষণ হয়নি। বাংলাকে এরা সারা দেশের কাছে ছোট করেছে। ২০মে ভোটে এর জবাব দিতে হবে।
তফসিলি জাতি উপজাতিদের নিয়ে তিনি বলেন, বিজেপির ইস্তেহারে অভিন্ন দেওয়ানী বিধি চালু করার কথা আছে। এই অভিন্ন বিধি চালু হলে তফসিলি জাতি-উপজাতির মায়েরা-বোনেরা-ভাইয়েরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্ৰস্ত হবেন। তফসিলি জাতি-উপজাতিদের উপর উত্তরপ্রদেশে সবচেয়ে বেশি আক্রমণ হয়েছে। বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, গুজরাত, মহারাষ্ট্র, বিহার তারপরে আছে। ওরা বলছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্গাপুজোয় ছুটি দেয় না। কিন্তু, তৃণমূল একমাত্র সরকার যারা ১০ দিন ছুটি দেয়।
হুগলি জেলার সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের বিষয়ে তিনি বলেন, এখানে প্রতিমাসে ১৩ লক্ষ ৩০ হাজার ৯৩০ জনকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দেওয়া হচ্ছে। কন্যাশ্রীতে ১৬ লক্ষ ৯৯ হাজার ৯৫৯ জন আর্থিক সাহায্য পাচ্ছে। খাদ্যসাথী প্রকল্পে ৫৩ লক্ষ ২১ হাজার ৬৯৬ জন আর্থিক সুবিধা পাচ্ছেন। এই ভোট প্রতিবাদের, প্রতিরোধের, প্রতিশোধের। ২০ তারিখ সকলে ভোট দিন। ৪ জুন বিজেপির বিসর্জন হয়ে যাবে।