ব্যবসা ও পেশায় ধনাগম ভাগ্য আজ অতি উত্তম। বেকারদের কর্ম লাভ হতে পারে। শরীর স্বাস্থ্য ... বিশদ
সিপিএমের আরামবাগ-১ নম্বর এরিয়া কমিটির সম্পাদক পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায় বলেন, বিনয়বাবু কৃষক আন্দোলনের হুগলি জেলার অন্যতম নেতা ছিলেন। তিনি ১৯৯৬ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত আরামবাগ বিধানসভার সিপিএমের বিধায়ক ছিলেন। অত্যন্ত দক্ষ নেতা ছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত।
স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিনয়বাবু বেশ কয়েক মাস ধরেই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। শুক্রবার রাতে তিনি বুকের যন্ত্রণা নিয়ে আরামবাগের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি হন। শনিবার ভোরে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই দলের নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ নার্সিংহোমে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ভিড় জমান। এরপর তাঁর মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয় আরামবাগ শহরের কালীপুরের বাসভবনে। সেখানে সিপিএম নেতাকর্মীরা ছাড়াও তৃণমূলের গোঘাট বিধায়ক মানস মজুমদার শেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
এরপর তাঁর বাসভবন থেকে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয় সিপিএমের আরামবাগ জোনাল কার্যালয়ে। সেখানে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান আরামবাগের তৃণমূল বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা, আরামবাগ পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন নন্দী, আরামবাগের বিজেপি নেতা অরবিন্দ সমাজি, বিশ্বনাথ কারক প্রমুখ। তিনি মৃত্যুর আগে মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার করেছিলেন। সেইমতো তাঁর মৃতদেহ কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরামবাগ পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন নন্দী বলেন, বিনয়বাবুর সঙ্গে আমাদের রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও তিনি একজন পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ ও দক্ষ সংগঠনক ছিলেন। আমরা তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করছি। তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।