মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
শুভেন্দুবাবু বলেন, শ্রমিক-কর্মচারীরা পেট্রকেমের প্রধান চালিকাশক্তি। তাঁরা ঝুঁকি নিয়ে দিনরাত কাজ করে পেট্রকেমকে অলাভজনক থেকে লাভজনক করেছেন, এশিয়ার এক নম্বর প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলেছেন। তাঁদের পরিশ্রমেই পেট্রকেম এখন ৯৭শতাংশ উৎপাদন করে। সেই শ্রমিক পরিবারের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে উৎসাহিত করতে এখানকার শ্রমিক ইউনিয়ন স্কলারশিপ প্রদানের মতো একটি নতুন কর্মসূচি নিয়েছে। তিনি জানান, এবার ৭৭জনকে এই স্কলারশিপ দেওয়া হল। এর মধ্যে ৪১জন ছাত্র ও ৩৬জন ছাত্রী। মাধ্যমিকে যারা ৭০শতাংশের উপর নম্বর পেয়েছে, এমন ২৫জন এবং উচ্চ মাধ্যমিকে কৃতী ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে, এমন ৪৬জন পড়ুয়াকে স্কলারশিপ দেওয়া হল। এছাড়াও উচ্চশিক্ষা নিচ্ছেন অর্থাৎ ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছেন দু’জন, মাস্টার ডিগ্রির তিনজন এবং গবেষণা করছেন এমন একজনকে এই স্কলারশিপ দেওয়া হল।
এদিন শুভেন্দুবাবু পেট্রকেমে কর্মরত অবস্থায় মৃত তিনজন অস্থায়ী শ্রমিকের পরিবারের হাতে ‘মেমোরান্ডাম অব সেটেলমেন্ট’ অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের আর্থিক সহায়তা তুলে দেন এবং তাঁদের পরিবারের একজনকে চাকরির আশ্বাসও দেন তিনি। তিনজনের মধ্যে দু’জন দুর্ঘটনাজনিত কারণে এবং দীপক সামন্ত নামে এক অস্থায়ী কর্মী গত সেপ্টেম্বরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মারা যান। শুভেন্দুবাবু বলেন, মৃত শ্রমিকদের পরিবারের পক্ষ থেকে আমাকে দু’তিনজন বলেছেন একটা কাজে ব্যবস্থা করতে। পরিবারগুলিকে আগামী একমাসের মধ্যে হলদিয়ার যে কোনও কারখানায় চুক্তিভিত্তিক কাজে নিয়োগের ব্যবস্থা করব।
তিনি বলেন, পেট্রকেম কর্তৃপক্ষকে আমরা সেফটি নিয়ে আরও বেশি সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছি। আমি শুনেছি, এইচপিএল কর্তৃপক্ষ শ্রমিক কর্মচারীদের সেফটি ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করেছেন। তাঁরা আমার কথা পুরোটা না হলেও কিছুটা শুনেছেন। শ্রমিক কর্মচারীদেরও আরও বেশি সতর্ক হয়ে কারখানায় কাজ করতে হবে। সেফটির বিষয়ে হলদিয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে বিভিন্ন শিল্প সংস্থাকে নিয়ে কর্মশালা হয়েছে। সেই কর্মশালা থেকে একগুচ্ছ প্রস্তাব পাওয়া গিয়েছে। শিল্প নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সেগুলি ফলপ্রসূ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
পেট্রকেমে ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত হলদিয়া পুরসভার দুই কাউন্সিলার নারায়ণচন্দ্র প্রামাণিক ও প্রদীপ দাস বলেন, কয়েক মাস আগে ইউনিয়নের সঙ্গে দাবিসনদ নিয়ে পেট্রকেমের যে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি হয়েছিল, তার মধ্যে ইতিমধ্যেই তিনটি বিষয় ফলপ্রসূ হয়েছে। শ্রমিক পরিবারের কৃতী সন্তানদের স্কলারশিপ প্রদান, অস্থায়ী শ্রমিকদের জন্য বাসের ব্যবস্থা এবং দুর্ঘটনার জন্য ক্ষতিপূরণ প্রদানের মতো তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি আদায় সম্ভব হয়েছে। মাধ্যমিকের পড়ুয়াদের ৫০০০, উচ্চমাধ্যমিক, পলিটেকনিক ও গ্র্যাজুয়েশনের পড়ুয়াদের সাড়ে ৭হাজার, মাস্টারডিগ্রির পড়ুয়াদের জন্য সাড়ে ১২হাজার ও পিএইচডি পড়ুয়াদের জন্য ২৫হাজার টাকা স্কলারশিপের ব্যবস্থা করা হয়েছে।