মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
লাভপুর থানার জামনা পঞ্চায়েতের গোপীনাথপুরের বাসিন্দা বছর পঞ্চাশের শিবসাধনবাবু এলাকায় তাঁর আজব খাদ্যাভাসের জন্য পরিচিত। রান্না করা খাবার না থাকলে তাঁর বিশেষ একটা পরোয়া নেই। কারণ কাঁচা শাকসব্জি এমনকী কাঁচা মাছও অনায়াসে খেয়ে ফেলতে পারেন তিনি। ছোটবেলায় ১০ বছর বয়স থেকে কৌতুহলের বশে সবকিছু কাঁচাই খেতে শুরু করেন। তারপর দীর্ঘ ৪০বছর ধরে একইভাবে খাদ্যাভাস ধরে রেখেছেন। কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করা সাধনবাবু নিজেও কৃষিকাজের সঙ্গেই যুক্ত। তাই কাঁচা শাকসব্জির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক একটু বেশি গভীর। বাড়িতে রান্না হোক বা না হোক তাঁর কোনও হেলদোল নেই। দিব্যি সমস্তকিছু কাঁচা খেয়ে পেট ভরিয়ে নেন। পালং শাক, আলু, পটল, মুলো থেকে বাঁধাকপি ও ফুলকপি সবই খান তিনি। কাঁচা শাকসব্জি ও মাছ খেয়ে তেমন কোনও শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়নি বা রোগে ভুগতে হয়নি বলেই দাবি সাধনবাবুর। পরিবারের সদস্যরা তাঁর এই অভ্যাসে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন। তাই তাঁরাও আর বিশেষ কিছু বলেন না। সাধনবাবুর স্ত্রী মিঠু দাস বৈরাগ্য জানিয়েছেন, প্রথম প্রথম দেখে একটু অদ্ভুত লাগত। কিন্তু এখন তা একদমই সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কীভাবে সবকিছু কাঁচা খান? শিবসাধনবাবু বলেন, প্রায় চার দশক থেকে এভাবে কাঁচা খাবার খাচ্ছি। আগে আরও বেশি করে কাঁচা খেতাম। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে পরিমাণে কম হয়ে গিয়েছে। তবে এই খাদ্যাভাসের জন্য কখনও সমস্যায় পড়তে হয়নি।