মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি বছরই ১৮ ফেব্রুয়ারি রামকৃষ্ণদেবের জন্মতিথি উপলক্ষে আগে ভাগেই মঠ ও মন্দিরে সংস্কারের কাজ চলে। সেই মতো এবারও সংস্কার কাজ করা হয়। মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী লোকোত্তরানন্দজি মহারাজ বলেন, আগে কাঠের কাজের করবার সময় ওই শ্রমিকদের সঙ্গে প্রথম আলাপ হয়েছিল। তখনই জানতে পেরেছিলাম, ওঁরা খড়ের চাল ছাউনির কাজ করেন। যে কারণে এই কাজের জন্য আবার তাঁদের ডাকা হয়। আলাদা করে সম্প্রীতির বার্তা দিতে মুসলিম সম্প্রদায়ের শ্রমিকদের ডাকা হয়েছে, এমনটা নয়।
তিনি বলেন, এই ধরনের উদাহরণ এর আগেও হয়েছে। মা সারদাদেবী যখন জয়রামবাটিতে ছিলেন। তখন তিনি আমজাদ শেখ নামে এক শ্রমিককে দিয়ে নিজের ঘরের চাল ছাউনির কাজ করাতেন। কাজ শেষ হলে মা নিজে ওই মুসলিম শ্রমিককে নতুন কাপড় ও পারিশ্রমিক দিয়ে আতিথেয়তার মাধ্যমে বিদায় জানাতেন। এখানে হিন্দু-মুসলিমের কোনও বিষয় নেই।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঠাকুরবাড়ির সংস্কারের কাজ মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের করতে দেখে এলাকার বেশ কয়েকজন যুবক মোবাইলে ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় তা ছড়িয়ে দেন। ওই ছবিতে লেখা হয়েছে, ‘এটাই সম্প্রীতির বাংলা’। কামারপুকুরের স্থানীয় বাসিন্দা পেশায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও জয়রামবাটি এলাকার বাসিন্দা বাসুদেব মুখোপাধ্যায় বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ধরনের পোস্ট সমাজের কাছে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। ধর্মীয় বিভেদের ঊর্ধ্বে উঠে আমরা সবাই মানুষ এবং সহ নাগরিক। এই ধরনের পোস্ট সেই বার্তাই দেয়।
গোঘাটের ভাদুর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে কাজ করতে আসা শ্রমিক আকবর আলি, ইউনুস আলি, বাসের আলি বলেন, কামারপুকুর ঠাকুরবাড়ির খড়ের ছাউনির কাজ নিজেদের হাতে করতে পারব, এটা কখনই ভাবিনি। এই কাজ করে অর্থ উপার্জনের চেয়েও কাজ করতে পেরেছি, এটা ভেবে খুবই আনন্দ হচ্ছে। নিজেদের সৌভাগ্যবান মনে করছি।
বিষয়টি নিয়ে কামারপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের তপন মণ্ডল বলেন, রামকৃষ্ণদেবের জন্মভূমিতে আজও সম্প্রীতি বজায় আছে, তা প্রমাণিত।