মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
দাঁইহাট পুরসভার চেয়ারম্যান শিশির কুমার মণ্ডল বলেন, অনেক বাসিন্দা পুরসভায় এসে অভাব অভিযোগ লিখিতভাবে জমা দিয়েছেন। নানা কাজের চাপে যেগুলি এখনও সমাধান করা হয়ে ওঠেনি। ছোটখাট সমস্যার জন্য বারবার পুরসভায় আসার থেকে এবার সরাসরি যাতে আমার সঙ্গে তাঁরা যোগাযোগ করতে পারেন, তারজন্যই ‘আপনার কথা, আমি শ্রোতা’ নাম দিয়ে হেল্পলাইন চালু করা হয়েছে। ফোনের পাশাপাশি তাঁরা আমাকে ওই নম্বরে হোয়াটস অ্যাপও করতে পারবেন।
একসময় বর্গি হামলায় জৌলুস হারিয়ে যাওয়া শহরে বর্তমান শাসক দল তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর দাঁইহাট পুরসভায় বহু উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই শহরে পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরে শহরের ৫, ১৩, ১০, ১২ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে আর্সেনিকমুক্ত পরিস্রুত পাঁচটি পানীয় জলপ্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। এই জল প্রকল্পগুলি থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে বাসিন্দাদের বাড়ি বাড়ি জল সরবরাহ করার কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়া শহরের সৌন্দর্যায়নের জন্য গোটা দাঁইহাটজুড়ে সাড়ে পাঁচ কিমি রাস্তা হাইমাস্ট, ত্রিফলা, এলইডি, দুফলা প্রভৃতি বাহারি আলো দিয়ে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। এছাড়াও শহরে পুরনো রাস্তা সংস্কার করে একাধিক ঢালাই রাস্তা, পাকা রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। তাছাড়া পুরসভা এলাকার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির খোলনলচে বদলানো হয়েছে। তাই নাগরিকদের আরও পরিষেবা দিতে উদ্যোগ নিয়েছে পুরসভা। যাতে প্রতিটি নাগরিক চেয়ারম্যানের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন। তারজন্যও হেল্পলাইন ছাড়াও পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে বাসিন্দাদের সমস্যা শুনছেন চেয়ারম্যান।
হেল্পলাইন চালু করা নিয়ে সিপিএম নেতা তথা পুরসভার কাউন্সিলার বিদ্যুৎবরণ ভক্ত বলেন, এখন এসব করে কী হবে। মানুষ এসব ভাঁওতাবাজি বুঝতে পারে। অন্যদিকে বিজেপি নেতা অনিল দত্ত বলেন, দিদিকে বলো, চেয়ারম্যানকে বলো চালু হলেও, শুধু বলাই হবে। কাজের কাজ কিছু হবে না। কারণ আমরাই বোর্ড গড়ব।