বিএনএ, সিউড়ি: শহরে নাগরিক পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে বীরভূমের ছয়টি পুরসভাকে নিয়ে সোমবার বৈঠক করে জেলা প্রশাসন। এদিন জেলা পরিষদের কনফারেন্স হলে আয়োজিত ওই বৈঠকে জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা, এসআরডিএ-র চেয়ারম্যান অনুব্রত মণ্ডল সহ জেলা প্রশাসনের কর্তারা ছিলেন। অন্যদিকে, জেলার পুরসভাগুলির চেয়ারম্যান, কাউন্সিলার সহ আধিকারিকরা ছিলেন। তবে এদিন এই বৈঠকে রামপুরহাট পুরসভার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান কেউই ছিলেন না। ওই পুরসভার আধিকারিকরা ছিলেন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার প্রায় প্রত্যেক পুরসভা শহরেই জঞ্জাল পড়ে থাকা নিয়ে অভিযোগ ওঠে। রাস্তার ধারে জঞ্জাল পড়ে থাকার জেরে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এই নিয়ে একাধিক জায়গায় অভিযোগ করেছেন। তাই জঞ্জাল মুক্ত শহর রাখতে পুরসভাগুলিকে সক্রিয় হওয়ার জন্য এদিন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া অনেক পুরসভারই ডাম্পিং গ্রাউন্ড নেই। সংশ্লিষ্ট পুরসভাগুলির ডাম্পিং গ্রাউন্ড করার জন্য জমির সমস্যা রয়েছে। জেলাশাসক বলেন, ডাম্পিং গ্রাউন্ড করার জন্য ভূমি দপ্তরের কাছ থেকে জমির ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত খোঁজ নেওয়া হবে। তাছাড়া দুর্গাপুরের একটি এজেন্সি বর্জ্য ব্যবস্থাপন নিয়ে কাজ করছে। তাদের সেই প্রযুক্তি প্রাথমিকভাবে দেখে আসার জন্য পুরসভাগুলিকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া একাধিক পুরসভা এলাকায় পুকুর ভরাটের অভিযোগ ওঠে। সেইসব অভিযোগ পাওয়ার পর যাতে সেখানে পুকুর ভরাট বন্ধ করা হয় ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
জেলাশাসক বলেন, পুকুর ভরাটের অভিযোগ পেলে সেটিকে ফের নিজস্ব অবস্থানে ফেরানোর জন্য পুরসভাগুলিকে বলা হয়েছে। এছাড়া সিউড়ি শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে পানীয় জল নিয়ে সমস্যা রয়েছে। অনেক ওয়ার্ডে জল পৌঁছয় না। সেই বিষয়টি দেখার জন্য বলা হয়েছে। সিউড়ি পুরসভায় অবশ্য জল প্রকল্পের জন্য কয়েক কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। তারা সেই বরাদ্দে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে, পুরসভায় যেসব অভিযোগ আসে সেগুলি যাতে শীঘ্রই নিষ্পত্তি করা হয়, সেব্যাপারেও পুরসভাগুলিকে সক্রিয় হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এদিন অনুব্রতবাবুও পুরসভাগুলিতে নাগরিক পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।