হঠাৎ পাওয়া যোগাযোগের মাধ্যমে কর্ম জটিলতার অবসান ও মানসিক চিন্তামুক্তি। আয় ব্যয়ের ক্ষেত্র ঠিক থাকবে ... বিশদ
মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা তথা এনায়েতপুর পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা আঞ্জুম সাগিরার স্বামী আবু তালেব বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মী। অভিযোগ, সরকারি সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বজনপোষণ করেছেন তিনি। দেখা গিয়েছে, অযোগ্য হলেও অন্ত্যোদয় তালিকায় নাম রয়েছে সাগিরার পরিবারের প্রায় ১৩ জন সদস্যের। যার মধ্যে রয়েছেন চাকুরিরত বাবা থেকে শুরু করে স্বামী, দাদা, ভাই সহ অন্য সদস্যরা। বিষয়টি সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি এনায়েতপুরের প্রতিবন্ধী বৃদ্ধা কোহিনুর খাতুন মানিকচকের বিডিওর দ্বারস্থ হন। তিনি লিখিত অভিযোগ করেন আঞ্জুম সাগিরার বিরুদ্ধে। কোহিনুর বলেন, আমি শারীরিকভাবে অক্ষম। সরকারের দেওয়া ভাতা এবং রেশন সামগ্রী নিয়ে বেঁচে আছি। আবেদন করেও পাকা বাড়ি এবং শৌচালয় পাইনি। অথচ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের পরিবারের লোকদের পাকা বাড়ি, শৌচালয় থাকলেও তাদের নাম রয়েছে বাংলার বাড়ি, সরকারি শৌচালয় পাওয়ার ক্ষেত্রে। যোগ্য না হলেও অন্ত্যোদয় তালিকায় নাম উঠছে তাঁদের। তাই আমি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছি।
গত বছর মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে দুঃস্থদের গবাদি পশু প্রদানের তালিকায় নাম ছিল আঞ্জুম সাগিরার। তাঁর স্বামীকে গবাদি পশু তুলে দিয়েছিলেন স্বয়ং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পিঙ্কি মণ্ডল। সেইসময়ও জোর বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। আঞ্জুম বলেন, অভিযোগ একদম ঠিক নয়। এই বিষয়ে কিছু জানি না।
তবে বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছেন দক্ষিণ মালদহের জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক গৌরচন্দ্র মণ্ডল। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যদি দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের পুরস্কৃত করেন, বিজয়ী হবেন মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য আঞ্জুম সাগিরা। অন্যদিকে, মানিকচক ব্লক তৃণমূল সভাপতি মাহফুজুর রহমানের মন্তব্য, প্রশাসন বিষয়টি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিক। তৃণমূল এই সমস্ত কাজকর্মকে প্রশ্রয় দেয় না।