হঠাৎ পাওয়া যোগাযোগের মাধ্যমে কর্ম জটিলতার অবসান ও মানসিক চিন্তামুক্তি। আয় ব্যয়ের ক্ষেত্র ঠিক থাকবে ... বিশদ
ভিক্টরের প্রশ্ন, ডিসেম্বর-জানুয়ারি পর্যন্ত জেলার চাষিদের একাংশের ধান জমিতেই ছিল। চাষিদের ফসল উঠলই না, এদিকে ধান কেনার লক্ষমাত্রা পূরণ হয়ে গেল কীভাবে? খাদ্য ও খাদ্য সরবরাহ দপ্তর এত পরিমাণ ধান কাদের কাছ থেকে কিনল?
কংগ্রেস নেতার অভিযোগ, রাইস মিল মালিকদের কাছ থেকে চাল কিনে সরকারি গোডাউন ভর্তি করা হয়েছে। রাইস মিল কর্তৃপক্ষ, প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিদের যোগসাজশে কয়েকশো কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। ফলে বহু চাষি সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। গোটা বিষয়টি নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছেন তিনি।
ভিক্টরের অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ নার্গিস বেগম বলেন, এবার সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয়ের জন্য সিপিসির সংখ্যা বাড়ানো হয়েছিল। মোবাইল সিপিসির মাধ্যমে ধান কেনা হয়েছে। সেইসঙ্গে বিভিন্ন সোসাইটির মাধ্যমেও ধান কেনা হয়েছে। ফলে অল্প সময়ের মধ্যে লক্ষমাত্রা পূরণ হয়েছে। খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তরের ডিস্ট্রিক্ট কন্ট্রোলার সঞ্জীব হালদারকে ফোন করা হলে অভিযোগ শুনে ফোন কেটে দেন। পরে আর ফোন তোলেননি। মেসেজেরও উত্তর দেননি।
চাষিরা বলছেন, জানুয়ারির মাঝামাঝি হঠাৎ সিপিসি বন্ধ করে দেওয়া হয়। বহু চাষি ধান বিক্রির জন্য অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করে রেখেছিলেন। নির্দিষ্ট তারিখে সিপিসিতে বিক্রি করতে এসেও ধান নিয়ে ফেরত যেতে হয়েছে তাঁদের। এতে ভাড়া বাবদ আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। সরকারি মূল্যে ধান বিক্রি করতে না পেরে স্থানীয় বাজারে কমদামে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন চাষিরা।