হঠাৎ পাওয়া যোগাযোগের মাধ্যমে কর্ম জটিলতার অবসান ও মানসিক চিন্তামুক্তি। আয় ব্যয়ের ক্ষেত্র ঠিক থাকবে ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃদ্ধার শ্লীলতাহানি করার অভিযোগের পর বৃদ্ধকে বাড়িতে ঢুকে মারধর করা হয়েছিল। কিন্তু তাতেও রাগ মিটছিল না বৃদ্ধার পরিবারের। বারবার মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বৃদ্ধকে। ঠিক হয়েছিল শনিবার পাড়া প্রতিবেশীদের নিয়ে মিমাংসা করা হবে। কিন্তু শুক্রবার সন্ধ্যায় অভিযুক্তের বাড়িতে ঢুকে লাঠি, বাঁশ দিয়ে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে খুন করল বৃদ্ধার পরিবারের সদস্যরা। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্তরা। মৃতের পরিবার ছয়জনের বিরুদ্ধে বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পর তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। বালুরঘাট থানার আইসি সুমন্ত বিশ্বাস বলেন, অভিযোগ অনুযায়ী মামলা শুরু হয়েছে।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃত বৃদ্ধের নাম মানিক হেমরম। বয়স ৮০ বছর। বাড়ি বালুরঘাট থানার চিঙ্গিসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহদিপুর এলাকায়। ওই বৃদ্ধ গত ১৭ ফেব্রুয়ারি পাশের গ্রামের এক বাড়িতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে যান। অভিযোগ, সন্ধ্যায় ফেরার পথে ৭৪ বছর বয়সী এক বৃদ্ধার হাত ধরে টানাটানি করেন মানিক। তাঁকে জঙ্গলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে। এনিয়ে ওই বৃদ্ধার ছেলে, মেয়ে ও বউমা বৃদ্ধকে মারধর করেন। যদিও এই ঘটনায় প্রথমে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি তাঁরা। তবে লাগাতার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বৃদ্ধের পরিবারকে। আক্রোশ মেটাতে শুক্রবার রাতে তাঁর বাড়িতে ঢুকে পিটিয়ে খুন করা হয়। যদিও পরিবারের সদস্যরা বৃদ্ধের বিরুদ্ধে ওঠা শ্লীলতাহানির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। মৃতের ছেলে শ্যামল হেমরম বলেন, আমার বাবা এই ধরনের কাজ করতেই পারেন না। কারণ তিনি কোমর ধরে হাঁটেন। ভালো করে হাঁটাচলা করতে পারেন না। ৮০ বছর বয়সে এই ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন। ওরা লাগাতার হুমকি দিচ্ছিল। শনিবার মিমাংসায় বসার কথা ছিল। তার আগেই ওরা আমাদের বাড়িতে ঢুকে বাঁশ ও লাঠি দিয়ে বাবাকে পিটিয়ে খুন করেছে। সেই সময় বাড়িতে ছিলাম না। বাবাকে বাঁচাতে গেলে স্ত্রীর শ্লীলতাহানি করা হয়। আমরা ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার বাড়িতেই ছিলেন ওই বৃদ্ধ। রাতের দিকে বাড়িতে চড়াও হয় অভিযুক্তরা। যে মহিলা শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলেছেন, তাঁর দুই ছেলে, তিন মেয়ে ও বউমা মিলে বৃদ্ধকে মারধর করে। অভিযোগ, প্রথমে এলোপাথাড়ি মারধর করা হয়। এরপর ওই বৃদ্ধার এক মেয়ে লাঠি ও বাঁশ দিয়ে মাথায় ও শরীরে আঘাত করে। চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হলেই পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। বৃদ্ধকে উদ্ধার করে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে দিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।