সংবাদদাতা, চাঁচল: মহানন্দা নদী থেকে বালি উত্তোলন রুখতে ফের একজোট হয়ে আন্দোলনে গ্রামবাসীরা। শুক্রবার মালদহের চাঁচল-২ ব্লকের বাহারাবাদে নদীর চরে টায়ার পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখান পাঁচটি গ্রামের শতাধিক বাসিন্দা। বিক্ষোভে শামিল হয়েছিলেন বাহারাবাদ সহ চন্দ্রপাড়া, হোসেনপুর, থারাজ সহ একাধিক গ্রামের মানুষ। একাধিকবার আন্দোলন করা হলেও প্রশাসনিক উদাসীনতার কারণে বালি তোলা বন্ধ হয়নি বলে অভিযোগ। এলাকাবাসীর দাবি, খরার সময় প্রতি বছর নদী থেকে বালি তোলার ফলে এলাকার ভূ-মানচিত্র নষ্ট হচ্ছে। যত্রতত্র বালি তোলায় স্নান করতে গিয়ে মানুষ ডুবে যায়। নদীর গতিপথ বদলে যাওয়ার ফলে বর্ষায় গ্রামগুলিতে জল ঢুকে যাচ্ছে। বিঘার পর বিঘা বাস্তু ও কৃষি জমি চলে যাচ্ছে নদীতে। এলাকাবাসীর দাবি, ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরে গণসাক্ষর করে অভিযোগ জানিয়েও কাজ বন্ধ হয়নি। প্রশাসনের দাবি, ওই এলাকায় আগেও নদী পরিদর্শন করা হয়েছে। নদী ও জনবহুল এলাকার মানচিত্র দেখে গিয়েছে সেচ দপ্তর। প্রশাসন সবটাই খতিয়ে দেখছে। বিক্ষোভকারী আব্দুল কালাম আজাদের অভিযোগ, এভাবে নদী থেকে বালি তোলা হলে এলাকার ২৫ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে। রাজ্য সরকার অবিলম্বে কাজ বন্ধ করুক।
স্থানীয় খাদিজা খাতুনের দাবি, আমাদের বিপদে ফেলে কেন বালি কাটা হচ্ছে? জনপ্রতিনিধিরা আমাদের পাশে দাঁড়ান। ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় মহানন্দা নদীতে বালি কাটার জন্য একটি সংস্থা রাজ্যস্তর থেকে অনুমোদন পেয়েছে। যার আয়তন ২.০৮ হেক্টর অর্থাৎ প্রায় ২১ বিঘা। চাঁচল-২ ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিক মোহাম্মদ আবু করিম মুনিরুজ্জামান বলেন, ওই সংস্থাটি রাজ্যস্তরে রাজস্ব দিয়ে তবেই বালি তুলছে। তবুও এলাকাবাসীর দাবি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানানো হয়েছে। মালতীপুরের বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সি বলেন, মানুষ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য উচ্চস্তরে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।
(চাঁচলের বাহারাবাদে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ।-নিজস্ব চিত্র)