মনোরম স্থানে সপরিবারে ভ্রমণ ও আনন্দ উপভোগ। সম্পত্তি সংরক্ষণে সচেষ্ট না হলে পরে ঝামেলায় পড়তে ... বিশদ
বিদ্যুৎ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসির আলোর প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হতে গেলে তিন মাসে সবচেয়ে বেশি ৭৫ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ করা যাবে। তাই এই প্রকল্পের আওতায় উপভোক্তরা শুধুমাত্র আলো জ্বালাতে পারবেন বাড়িতে। ১০ ওয়াটের পাঁচটি এলইডি বাল্ব দিনে ১২ ঘণ্টা জ্বালিয়ে রাখতে পারবেন তাঁরা। যাঁরা আর্থিকভাবে পিছিয়ে তাঁদের বাড়িতে আলো জ্বালাতে এই প্রকল্প। বছরে ৩০০ ইউনিট আলো জ্বালাতে পারবেন তাঁরা। ২০০ ওয়াটের লোড নিতে পারবে এই সংযোগ। তবে অনেকেই এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত হওয়ার পরে বেশি করে বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন। ৭৫ ইউনিটের বেশি বিদ্যুৎ তিন মাসে মধ্যে খরচ করলেই এই প্রকল্প থেকে নাম বাদ যাবে তাঁদের।
দিনহাটা মহকুমায় ১ লক্ষ ১৮ হাজার ৮৮৭টি পরিবার হাসির আলো প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ১০০ শতাংশ বিদ্যুৎ বিলের ছাড় দিয়েছে রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কারণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের শুভেচ্ছা বার্তাও জানিয়েছেন। বাড়ি বাড়ি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে বিদ্যুৎ দপ্তর। রাজ্য সরকারের এই সাফল্য প্রচারের আলোয় নিয়ে আসতেই দিনহাটা উৎসবে স্টল দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। সেই স্টলে হাসির আলোর প্রকল্পের সফলতা নিয়ে প্রচার করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ চুরি করতে গিয়ে বিপদে পড়েন অনেকেই। হুকিং রুখতেও প্রচার চালানো হচ্ছে। নিরাপদভাবে বিদুৎ ব্যবহারের জন্য প্রচার করছে তারা। দুয়ারে সরকার প্রকল্পে বিদ্যুৎ দপ্তরের ক্যাম্প বসে। সেই ক্যাম্প থেকে একাধিক সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়। ১৬টি পুতুল বানিয়ে হাসির আলো ও দুয়ারে সরকার প্রকল্পের প্রচার করা হচ্ছে স্টলে।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি লিমিটেডের দিনহাটার ডিভিশনাল ম্যানেজার কল্যাণবর সরকার বলেন, আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া বাড়িতে বিদ্যুতের আলো পৌঁছে দিতেই হাসির আলো প্রকল্প নিয়েছে রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পের আওতায় ১ লক্ষ ১৮ হাজার ৮৮৭ টি পরিবার রয়েছে দিনাটায়। এই পরিবারগুলি ৭৫ ইউনিটের কম বিদ্যুৎ ব্যবহার করায় ১০০ শতাংশ বিদ্যুৎ বিল ছাড় দেওয়া হচ্ছে। বিনামূল্যে বিদ্যুৎ পাওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তাও তাঁদের বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছি আমরা। এই প্রকল্পের প্রচার সহ বিদ্যুৎ দপ্তরের একাধিক কাজকর্মের প্রচার দিনহাটা সংহতি ময়দানে দিনহাটা উৎসবে করা হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রীর পাঠানো শুভেচ্ছাবার্তা হাতে এক উপভোক্তা। - নিজস্ব চিত্র।