মনোরম স্থানে সপরিবারে ভ্রমণ ও আনন্দ উপভোগ। সম্পত্তি সংরক্ষণে সচেষ্ট না হলে পরে ঝামেলায় পড়তে ... বিশদ
স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে খবর, কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে চ্যাংরাবান্ধা বাইপাস এলাকায় এই গুদামে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখেন স্থানীয়রা। তারা দমকলে খবর দেন। আগুন নেভানোর কাজে প্রথমে হাত লাগান স্থানীয়রা। নিয়ে যাওয়া হয় চ্যাংরাবান্ধা ট্রাক মালিক সমিতির জলের ট্যাঙ্কারও। কিন্তু, আগুনের মাত্রা এতটাই তীব্র আকার নেয়, যে সামনেই যাওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। শেষে মেখলিগঞ্জ থেকে দমকলের ইঞ্জিন ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। দমকলের ইঞ্জিন আসে ময়নাগুড়ি থেকেও। এপারের গুদামে আগুন লাগার খবর মুহূর্তে পৌঁছে যায় তিন কিমি দূরে বাংলাদেশেও। উদ্বেগ ছড়িয়েছে সেখানে। কারণ, গুদামঘরে বাংলাদেশ থেকে আমদানিকৃত ফলের জুস, বিস্কুট মজুত ছিল।
এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের খবর চাউর হতেই পাশে থাকা ব্যস্ততম বাইপাস মোড়ের অন্য ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে দেন। কিছুক্ষণের জন্য কাছের দুটি পেট্রলপাম্প থেকেও জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। প্রত্যক্ষদর্শী আমিরুল মহম্মদ বলেন, যেভাবে আগুন জ্বলছিল, তাতে আতঙ্কে বিভিন্ন দোকানদার দোকানের ঝাঁপ নামিয়ে দেন। আরএক বাসিন্দা অমিত মণ্ডল বলেন, এলাকাটি জনবহুল। আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা না গেলে বড় বিপদের আশঙ্কা ছিল।
অগ্নিকাণ্ডের সঠিক কারণ স্পষ্ট নয় বলে গুদামের ম্যানেজার রাজু পাল জানিয়েছেন। একই মন্তব্য পুলিস ও দমকলেরও। তবে, শটসার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন।
এই ঘটনার পর চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দর এলাকায় ফের দমকল কেন্দ্র গড়ার দাবি উঠেছে। বৈদেশিক বাণিজ্যকেন্দ্র হওয়ায় বাংলাদেশ থেকে প্রচুর পণ্য আমদানি করা হয়। ব্যবসায়ীদের আমদানি করা পণ্য বিভিন্ন গুদামে মজুত রেখে পরে সুবিধা মতো বাইরে পাঠানো হয়। এর আগেও একাধিকবার তুলোবোঝাই গুদামে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। বাংলাদেশের ট্রাক পুড়ে ছাই হয়েছে। এখন প্রায় ১২ কিমি দূরের মেখলিগঞ্জ দমকল কেন্দ্রই ভরসা।
চ্যাংরাবান্ধা এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনোজ কানু এবং সম্পাদক উত্তম সরকারের কথায়, এখানে দমকল কেন্দ্র তৈরি হলে গুদামের নিরাপত্তা বাড়বে। চ্যাংরাবান্ধা ট্রাক মালিক সমিতির সম্পাদক আব্দুল সামাদের বক্তব্য, অগ্নিনির্বাপনের জন্য তাঁদের সংস্থার জলের ট্যাঙ্কার কাজে এসেছে। তবে দমকল কেন্দ্র আবশ্যক বলে তিনিও মনে করেন।