মনোরম স্থানে সপরিবারে ভ্রমণ ও আনন্দ উপভোগ। সম্পত্তি সংরক্ষণে সচেষ্ট না হলে পরে ঝামেলায় পড়তে ... বিশদ
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মালদহের জন্য ১২৩টি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ৭৬টির শিলান্যাস করলাম। নতুন করে ৮৭৬ কোটি ৮৫ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকা দেওয়া হল। আমি খুব খুশি। কারণ মালদহের এই মিটিং থেকে আজকে ২ লক্ষ মানুষের কাছে সমস্ত পরিষেবা পৌঁছে যাবে।
এছাড়াও ৯০ কোটি ৭২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে মানিকচকে বৈদ্যুতিক সাব স্টেশন, ৩৫ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা দিয়ে চাঁচলে বিশেষ সংশোধনাগার, ২৪ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকায় বায়ো মিথেন প্ল্যান্ট, ৫ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা খরচ করে রতুয়া ভালুকা বাজার রাস্তাতে বারো মাইসার ওপর সেতু নির্মাণ, সল্টলেকে ৩ কোটি টাকা দিয়ে মালদহ ভবন তৈরি করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, মালদহের মানুষ কলকাতায় গেলে মালদহ ভবন আছে। ওখানে গিয়েও আপনারা থাকতে পারেন। আপনাদের কলকাতায় গিয়ে এখানে ওখানে ঘুরে বেরানোর প্রয়োজন নেই।
এছড়াও অনেক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা, পানীয় জল প্রকল্প, সৌর চালিত নলকূপ বিদ্যুৎ সাবস্টেশন,সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র, স্বাস্থ্য প্রকল্প, ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্প, কমিউনিটি হল সহ অনেক প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। ৬৮০ কোটি ৬৯ লক্ষ টাকা খরচ করে চাঁচল -১, রতুয়া-১ এবং ২ ব্লকে জল সরবরাহ প্রকল্পের কাজ চলছে।
এছাড়া জলস্বপ্ন প্রকল্পে মালদহে ৮ লক্ষ ৬৯ হাজার বাড়িতে জল পৌঁছে দেওয়া ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ৮৮৬ কোটি টাকায় ৩ লক্ষ ১৫ হাজার বাড়িতে জল পৌঁছে দিয়েছে প্রশাসন। ১৫২ কোটি খরচ করে আরও বেশকিছু পানীয় জল প্রকল্প করা হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বন্যায় আপনারা দেখেছিলেন ভূতনির চর ভেঙে গিয়েছিল। সেখানে নতুন করে সংস্কার করা হয়েছে। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ থেকে শুরু করে ৪৮৯ টি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র হয়েছে জেলায়। আগামী বছর আরও অনেক কাজ হবে। নারায়ণপুরে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, কালিয়াচকে সিল্ক পার্ক, ইংলিশবাজারে ফুড পার্ক, মালদহ আইআইটি পার্ক গড়ে উঠেছে। ৫৭ হাজারের বেশি ক্ষুদ্র শিল্পে একলক্ষের বেশি মানুষ কাজ করছেন বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।
মালদহ মার্চেন্টস চেম্বার অফ কমার্সের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, আপনারা এখানে ব্যবসা করলে সারা উত্তরবঙ্গ তার সুফল পাবে। মালদহে আপনাদের কথা শুনে শিল্পনগরী তৈরি করেছি। আরও বেশি করে শিল্প গড়ে মালদহকে ঢেলে সাজানোর বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র।