মনোরম স্থানে সপরিবারে ভ্রমণ ও আনন্দ উপভোগ। সম্পত্তি সংরক্ষণে সচেষ্ট না হলে পরে ঝামেলায় পড়তে ... বিশদ
এপ্রসঙ্গে মঙ্গলবার মালদহের সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দেখে শিক্ষা নিন। মুখ্যসচিব আজকে আমার সঙ্গে এসেছেন। উনিও সকালবেলা মালদহ মেডিক্যাল কলেজ সহ ছয়, সাতটা জায়গা পরিদর্শন করেছেন। সবাইকে বলব সপ্তাহে অন্তত একদিন এক ঘণ্টা করে গরিব মানুষদের বাড়িতে যান। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যার কথা শোনার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন সকালেই মালদহের হবিবপুর ব্লক পরিদর্শনে গিয়েছিলেন মনোজ। সেখানে বিভিন্ন সরকারি কেন্দ্রে পরিষেবা প্রদানের পদ্ধতি খতিয়ে দেখেন তিনি। সকাল দশটা নাগাদ প্রথমে হবিবপুর ব্লকের আইহো গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন কৃষি সমবায় উন্নয়ন সমিতির দপ্তরেও গিয়েছিলেন তিনি। এরপর এক এক করে ঋষিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কৃষ্ণনগর সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র, হবিবপুর ফার্মার্স প্রোডিউসার প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি ও বুলবুলচণ্ডীর আইসিডিএস কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন তিনি।
মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) হবিবপুরের বিডিও সহ অন্যান্য আধিকারিকদের নিয়ে হবিবপুর ব্লকের কৃষ্ণনগর সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রে যান মুখ্যসচিব। সেখানকার আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে সুবিধা, অসুবিধার কথা জেনে নেন। এরপর অনলাইনে টেলি মেডিসিন পরিষেবার মাধ্যমে চিকিৎসকদের পরামর্শ নেন স্বয়ং মুখ্যসচিব।
ব্লকের স্বাস্থ্য আধিকারিক বাবর আলী বলেন, নিজের ব্লাড প্রেসার মাপিয়েছেন মুখ্যসচিব। সাধারণ মানুষ সরকারি পরিষেবা ঠিকমতো পাচ্ছেন কি না, সেবিষয়েও খোঁজ খবর নিয়েছেন।
এরপর বুলবুলচণ্ডীর ডাঙ্গাপাড়া এলাকার এক আইসিডিএস কেন্দ্র পরিদর্শনে যান মনোজ। সেখানে কচিকাঁচারা তাঁকে ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে। শিশুদের মুখ থেকে কবিতা, গান, ছড়া শোনেন তিনি। রাজ্য সরকারের মুখ্যসচিবকে এভাবে সরেজমিনে বিভিন্ন পরিষেবা খতিয়ে দেখতে দেখে খুশি হবিবপুরের সাধারণ মানুষ। সরকারি বিভিন্ন পরিষেবা সরাসরি খতিয়ে দেখার বিষয়টির প্রশংসা করেছেন তাঁরা। নিজস্ব চিত্র।