বিমা প্রভূতক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। গৃহ সংস্কার বা ক্রয়ের প্রয়োজনীয় অর্থ পেয়ে যেতে পারেন। শরীরের ... বিশদ
এদিন সকালে রোদ ঝলমলে ছিল শিলিগুড়ির। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মহানন্দা বেষ্টিত এই শহরের আকাশে হালকা মেঘের আনাগোনা হয়। সঙ্গে কনকনে ঠান্ডা হাওয়া। তা হলেও জঙ্গল ঘেরা তরিবাড়ি, মহানন্দা নদীর চর, পাহাড়ের কোলে দুধিয়া, চা বাগান ঘেরা মোহরগাঁও গুলমা, এমএম তরাই, লালপুল প্রভৃতি এলাকায় চলে পিকনিকের আসর। এছাড়া, সূর্য সেন পার্ক, বেঙ্গল সাফারি সহ বিভিন্ন পার্কে ভিড় করে প্রচুর লোক। সন্ধ্যার পর থেকে ঠান্ডার দাপট বাড়ে। তা হলেও বিভিন্ন হোটেল, রেস্তেরাঁ, বার, পাব, ক্লাবে বসে নাচ ও গানের আসর। তাতে যুবক-যুবতীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। পাড়ায় পাড়ায় রাস্তার মোড়ে ও বাড়ির ছাদে সাউন্ড বক্স বাজিয়ে পিকনিক করা হয়। রাত ১২টা বাজতেই আতশবাজি পুড়িয়ে, কেক কেটে ২০২৫’কে স্বাগত জানানো হয়। আইন-শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে তৎপর ছিল পুলিস। সন্ধ্যার পর দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন উড়ালপুল সহ বিভিন্ন এলাকায় পুলিস স্নিফার ডগ নিয়ে তল্লাশি চালায়।
তোর্সা পাড়ের কোচবিহার শহরও ছিল দিনভর জমজমাট। এদিন সাগরদিঘি, রাজবাড়ি, মদনমোহন মন্দির, এনএন পার্ক, বাণেশ্বর মন্দির, মধুপুর পিকনিক স্পট, রসিকবিল, গোসানিমারি রাজপাট প্রভৃতি এলাকায় ভিড় করেন দর্শনার্থীরা। পুলিস সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, বর্ষবরণের রাত নির্বিঘ্নে কাটাতে জোরদার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিস্তা পাড়ের জলপাইগুড়ি ও কালজানি পাড়ে আলিপুরদুয়ার জেলাতেও জমজমাট উৎসবের আমেজ। তিস্তার চরে, বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গলে বোদাগঞ্জে পিকনিকের আসর বসে। তিস্তা উদ্যানে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। সন্ধ্যা নামতেই আলোর মাল ঝলমলিয়ে ওঠে জলপাইগুড়ি শহর। এদিকে, পয়লা জানুয়ারি জলপাইগুড়ির জন্মদিন। এবার ১৫৭ বছরে পা দিল এই জেলা। এই উপলক্ষ্যে রাত ১২টায় শহরের মিলন সঙ্ঘের মাঠে ১৫৭ পাউন্ড কেক কেটে জন্মদিন সেলিব্রেট করা হয়। আলিপুরদুয়ার জেলার জয়ন্তী, রাজাভাতখাওয়া, সিকিয়াঝোরা প্রভৃতি পিকনিক স্পটে ব্যাপক ভিড় ছিল।