বিমা প্রভূতক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। গৃহ সংস্কার বা ক্রয়ের প্রয়োজনীয় অর্থ পেয়ে যেতে পারেন। শরীরের ... বিশদ
২০২১ সালে অনলাইনেই বিল্ডিং প্ল্যান পাশ করা শুরু হয়। কিন্তু তার আগে পর্যন্ত অফলাইনেই পাশ করা হতো বিল্ডিংয়ের প্ল্যান। ২০২১ সাল পর্যন্ত যাঁদের বিল্ডিংয়ের প্ল্যান পাশ হয়নি, তাঁদের জন্য তিন বছরের অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়। ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর অফলাইনেই বিল্ডিংয়ের প্ল্যান পাশ করানো যেত। সেই সুযোগেরই ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয় চক্রীরা।
ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই টাস্ক ফোর্স গঠন করার সিদ্ধান্ত নেয় পুরসভা। তাদেরই নেতৃত্বে এদিন ক্যাম্প বসে আপনঘরে। পুরসভার কর্মীদের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন সেখানে। সকাল থেকেই একাধিক ওয়ার্ডের বাসিন্দারা ভিড় জমান সেই ক্যাম্পে। প্রায় ৮০ জন নাগরিক এদিন হাজির হয়েছিলেন ক্যাম্পে। তাঁদের মধ্যে ছ’জনের কাগজপত্র ভুয়ো পাওয়া গিয়েছে। মন্ত্রী উদয়ন গুহ থাকাকালীন চারজনের কাগজপত্র জাল পাওয়া যায়। সকলেই মন্ত্রীকে জানান, পুরসভার কর্মী উত্তম চক্রবর্তীকে টাকা দিয়েছিলেন তাঁরা। পরবর্তীতে আরও দু’জনের রশিদ জাল বের হয়।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, আপনঘরে পুরসভার ক্যাম্পে থাকার জন্য কাউন্সিলাররা জানিয়েছিলেন। এদিনের ক্যাম্পে অনেক মানুষ এসেছে। তাঁদের মধ্যে কারও কারও রসিদ জাল বেরিয়েছে। পুরসভাকে বলেছি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে।
দিনহাটা পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসার অলোককুমার সেন বলেন, মোট ছ’জনের কাগজপত্র ভুয়ো বেরিয়েছে এদিনের ক্যাম্পে। ঘটনায় দিনহাটা থানায় আরও ছ’টি পৃথক অভিযোগ দায়ের হবে। ইতিমধ্যে ছ’টি অভিযোগ জানানো হয়েছে। মোট ১২ জনের কাগজপত্র জাল বেরিয়েছে এখনও পর্যন্ত। নাগরিকদের বিল্ডিং প্ল্যান পাশের কাগজপত্র খতিয়ে দেখতে বিশেষ টিম তৈরি করা হয়েছে। কারও মনে প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হলে, কাগজপত্র নিয়ে পুরসভায় এলে তা যাচাই করে দেওয়া হবে। পুরসভার বিশেষ ক্যাম্পে উদয়ন গুহ। - নিজস্ব চিত্র।