পারিবারিক সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারার প্রচেষ্টায় সাফল্য পাবেন। ব্যবসায় লগ্নি বৃদ্ধির সম্ভাবনা । শরীর একপ্রকার থাকবে। ... বিশদ
প্রাথমিকে পড়ুয়ার সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীরা যাতে বাড়ির কাছের স্কুলে পড়তে পারে, সেই লক্ষ্যে প্রাথমিকে পঞ্চম শ্রেণি অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জলপাইগুড়ি জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক শ্যামলচন্দ্র রায়। তিনি বলেন, করোনার আগে জেলায় ৬০৬টি প্রাইমারি স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি চালুর নির্দেশ এসেছিল। কিন্তু পরবর্তীতে করোনা মহামারী চলে আসায় অনেক স্কুলই তা চালু করতে পারেনি। পরবর্তীতে জেলায় আরও ২৯টি প্রাথমিক স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি অন্তর্ভুক্ত করতে নির্দেশ এসেছে। সেইমতো জেলায় ৬৩৫টি প্রাইমারিকে নয়া শিক্ষাবর্ষ থেকে পঞ্চম শ্রেণির পঠনপাঠন শুরু করে দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে, দীর্ঘ ১২ বছর পর জলপাইগুড়ি জেলায় প্রাথমিক স্কুলগুলিতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ হলেও ৭৩টি স্কুল এর থেকে ‘বঞ্চিত’ থেকে গিয়েছে। ওইসব স্কুলে প্রধান শিক্ষক হিসেবে কেউ দায়িত্ব নিতে চাননি। ফলে ওই স্কুলগুলিকে নিয়ে চিন্তায় পড়েছে জলপাইগুড়ি জেলা প্রাথমিক শিক্ষাদপ্তর। জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক বলেন, ৮৯৩টি প্রাথমিক স্কুলে প্রধান শিক্ষকের পদ খালি ছিল। সেইমতো কাউন্সেলিং হয়। কিন্তু ৮২০ জন নিয়োগপত্র নিয়েছেন। ৭৩টি স্কুলে প্রধান শিক্ষকের পদ ফাঁকা থেকে গিয়েছে। ওইসব স্কুলগুলির জন্য পরবর্তীতে কাউন্সেলিং করা যায় কি না খতিয়ে দেখা হবে।
এদিকে, জলপাইগুড়ি জেলায় পাঁচটি ইংরেজি মাধ্যমের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও সেগুলির হাল ভালো নয়। নয়া শিক্ষাবর্ষে অবশ্য ওইসব স্কুল নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও ভাবনাচিন্তা নেই জেলা প্রাথমিক শিক্ষাদপ্তরের। জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শকের অবশ্য দাবি, পঞ্চম শ্রেণিতে ওঠার পর ফের বাংলামাধ্যমে ভর্তি হতে হচ্ছিল পড়ুয়াদের। কারণ সরকারি ইংরেজিমাধ্যম হাইস্কুল ছিল না জেলায়। এবার সেই সমস্যা থাকছে না। জলপাইগুড়ি শহরে মেহেরউন্নেসা উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ইংরেজিমাধ্যম চালু হচ্ছে। ফলে নয়া শিক্ষাবর্ষে ইংরেজিমাধ্যম প্রাইমারিগুলিতে পড়ুয়া ভর্তির সংখ্যা বাড়বে।
জলপাইগুড়ি জেলায় ১২০৯টি সরকারি প্রাথমিক স্কুল রয়েছে। এর আগে আচমকা অভিযান চালাতেই জেলার প্রাথমিক শিক্ষার ‘বেহাল’ ছবি প্রশাসনিক আধিকারিকদের সামনে আসে। দেখা যায়, বহু স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা তলানিতে ঠেকেছে। শিক্ষকদের একাংশ সময়ে স্কুলে আসেন না। অনেক স্কুল আবার সময়ের আগে ছুটি হয়ে যায়। এনিয়ে গত আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে বহু শিক্ষককে শোকজ করা হয়। নয়া শিক্ষাবর্ষেও স্কুলগুলিতে সারপ্রাইজ ভিজিট চালানো হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয় পরিদর্শক।