পারিবারিক সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারার প্রচেষ্টায় সাফল্য পাবেন। ব্যবসায় লগ্নি বৃদ্ধির সম্ভাবনা । শরীর একপ্রকার থাকবে। ... বিশদ
কয়েকদিন ধরেই দিনহাটা পুরসভার বিল্ডিং প্ল্যান নিয়ে শহরে চর্চা হচ্ছিল। দলের অন্দরেও এনিয়ে আলোচনা চলছিল। তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই বার্তা দিয়েছেন, কোনওরকম অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না। ইতিমধ্যেই মালবাজার পুরসভা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ ওঠার পর সেই পুরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয় তৃণমূল কংগ্রেস। জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব দল থেকে তাঁকে সাসপেন্ড করেছে। দিনহাটা পুরসভার ক্ষেত্রেও অনিয়ম সামনে আসায় ঘরে-বাইরে চাপে পড়েন চেয়ারম্যান। শনিবার ডাকা হয়েছিল বোর্ড মিটিং। সেই মিটিং পিছিয়ে সোমবার করা হয়। বোর্ড মিটিংয়ের আগের রাতে রবিবার ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন গৌরীশঙ্কর। এদিনের মিটিংয়ে ধ্বনি ভোটে গৃহীত হয় সেই সিদ্ধান্ত।
এদিকে, যাঁর বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ সেই কর্মীকে অন্যত্র বদলি করা হল। এক মহিলা কর্মচারীকেও বদলি করা হয়েছে। এক ক্লার্ককে জন্ম-মৃত্যুর নিবন্ধীকরণ বিভাগে বসতে বলা হয়েছে। পুরসভার কোনও কাগজপত্রে সই না করার জন্য এক আধিকারিককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গৌরীশঙ্কর বলেন, আমার সই জাল করা হয়েছে। তাঁর দাবি, চেয়ারম্যান হিসেবে পদে থাকলে অনেকেই বলতে পারেন তদন্ত প্রভাবিত করার চেষ্টা করছি। সেই কারণেই ইস্তফা। মন্ত্রী বলেন, ব্যক্তিগত কারণে ইস্তফা দিয়েছেন চেয়ারম্যান। সবকিছুর উপরেই নজর রাখছে দল।
পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসার অলোককুমার সেন বলেন, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ইস্তফাপত্র গৃহীত হয়েছে। চেয়ারম্যান পদের শূন্যতা সম্পর্কে জেলাশাসককে জানানো হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশিকা এলেই নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবে। ততদিন পর্যন্ত পুরসভার দায়িত্বে থাকবেন ভাইস চেয়ারম্যান।
ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, দিনহাটা পুরসভার পূর্ত বিভাগের তিনজন কর্মীকে বদলি করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত বলে প্রমাণিত হবে সকলের বিরুদ্ধেই আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।