পারিবারিক সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারার প্রচেষ্টায় সাফল্য পাবেন। ব্যবসায় লগ্নি বৃদ্ধির সম্ভাবনা । শরীর একপ্রকার থাকবে। ... বিশদ
পুণ্ডিবাড়ি থানার পুলিস জানিয়েছে, তিনটি প্যাকেটে ব্রাউন সুগার মিলেছে। যার মোট ওজন ২৬০ গ্রাম। মালদহের কালিয়াচক থানার সুজাপুর থেকে এসেছিল হাসান শেখ। যাদের হাতে ব্রাউন সুগার তুলে দিতে এসেছিল তারা হল নুরজামাল মিয়াঁ ও আরিজার রহমান ওরফে পচা। প্রথমজনের বাড়ি পুণ্ডিবাড়ি থানার দামোদরপুর ও দ্বিতীয়জনের বাড়ি পুণ্ডিবাড়ি থানারই উত্তর টাকাগাছে। এরা আগেও মদক কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল এই দু’জনের বিরুদ্ধে। এদের খুঁজছিল পুলিস।
রবিবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সাদা পোশাকের পুলিস পুণ্ডিবাড়ি থানার খাগড়াবাড়িতে অপেক্ষা করছিল। নেতৃত্বে ছিলেন থানার ওসি পুনম মাহেশ্বরী। মালদহ থেকে আসা মাদক ক্যারিয়ার বাস থেকে নেমে এখানকার মাদক কারবারিদের হাতে তা তুলে দেওয়ার সময় পুলিস তিনজনকেই হাতেনাতে ধরে ফেলে।
কোচবিহারের পুলিস সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য সোমবার বলেন, ব্রাউন সুগার সহ পুণ্ডিবাড়ি থানার পুলিস তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। নির্দিষ্ট ধারায় ধৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরা তিনজনই সক্রিয় মাদক কারবারি। এদের খোঁজ চলছিল অনেকদিন ধরেই।
কোচবিহার শহরের পাশাপাশি টাকাগাছ, তোর্সার বাঁধের পার প্রভৃতি এলাকায় ব্রাউন সুগার ব্যবহার ও বিক্রির অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে। পুলিস অনেকবার নানাভাবে সংশ্লিষ্ট এলাকায় হানা দিয়েও পরিস্থিতি এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। ব্রাউন সুগার ব্যবহারকে কেন্দ্র করে এখানে ছোট-বড় অপরাধমূলক কার্যকলাপও সংগঠিত হয়। এসব রোখার জন্য পুলিস এর আগেও নানা পদক্ষেপ করেছে। এবার পুলিসের জালে ধরা পড়ল তিন মাদক কারবারি। জেলার বাইরে থেকে বিভিন্ন থানা এলাকা পেরিয়ে পুলিসের চোখে ধুলো দিয়ে যে এভাবেই মাদক ঢোকে তাও আরও একবার প্রমাণিত হল। এই তিনজনকে জেরা করে চক্রের পান্ডার খোঁজ শুরু করেছে পুলিস।