পারিবারিক সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারার প্রচেষ্টায় সাফল্য পাবেন। ব্যবসায় লগ্নি বৃদ্ধির সম্ভাবনা । শরীর একপ্রকার থাকবে। ... বিশদ
মেলার মাঠে বসেছিল পিঠে-পুলি, ফুচকা সহ নানা খাবারের দোকান। টোকেন দেওয়া হয়েছিল আবাসিক শিশুদের। সেই টোকেন দেখিয়ে যে যেমন খুশি খেয়েছে। এদিন বাইরের লোকজনেরও হোমের ভিতর ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়। বহু মানুষ শামিল হন কোরক মেলায়। অনেক দিন ধরেই কোরক হোমের আবাসিকদের হাতের কাজ শেখানো হয়। তারা পাখির বাসা, মোমবাতি, ধূপকাঠি, কেক প্রভৃতি তৈরি করেছে। স্টলে সেসব বিক্রির ব্যবস্থা ছিল। বাইরে থেকে আসা লোকজন হোমের শিশু কিশোরদের হাতে তৈরি সামগ্রী কেনেন। অনেকে উপহারও নিয়ে এসেছিলেন।
কোরক ছাড়াও জলপাইগুড়ির আরও দু’টি হোম ‘অনুভব’ ও ‘নিজলয়’ শামিল হয়েছে এই মেলায়। পয়লা জানুয়ারি পর্যন্ত মেলা চলবে। অনুভব হোমে আবার এদিন কেক কেটে সমস্ত আবাসিক মেয়েদের জন্মদিন পালন করা হয়। ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ভালোমন্দ খাওয়াদাওয়া। অনুভব হোমের কো-অর্ডিনেটর দীপশ্রী রায় বলেন, হোমে যেসব মেয়েরা আসে, তাদের কার কবে জন্মদিন, সবসময় তা জানা সম্ভব হয় না। সেজন্য আমরা প্রতি বছর ৩০ ডিসেম্বর সব মেয়েদের একসঙ্গে জন্মদিন পালন করি। এদিকে, কোরক হোমের সুপার গৌতম দাস বলেন, বর্ষশেষে হোমের আবাসিক ছেলেরা যাতে আনন্দে মেতে উঠতে পারে, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই এই মেলার আয়োজন। গ্রামীণ পরিবেশের থিমে সাজানো হায়েছে মেলা প্রাঙ্গণ, যার সবটাই করেছে আবাসিকরা।
এদিন রাতে হোমের ছেলেরা ‘মামার চিঠি’ নামে একটি নাটক উপস্থাপন করে। জীবনে পড়াশোনা শেখা যে কতটা জরুরি, সেটাই তুলে ধরা হয়েছে ওই নাটকে। হোমে থাকা শিশু-কিশোরদের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশে একটি পুস্তিকাও প্রকাশ করা হয়েছে এদিন। তাতে হোমের ছেলেদের লেখা ছড়া, কবিতা, গল্প রয়েছে। অনেকে ছবি এঁকেছে, সবটা দিয়েই সাজানো হয়েছে ওই পত্রিকা।