পারিবারিক সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারার প্রচেষ্টায় সাফল্য পাবেন। ব্যবসায় লগ্নি বৃদ্ধির সম্ভাবনা । শরীর একপ্রকার থাকবে। ... বিশদ
এদিকে গত কয়েকদিনের মতো এদিনও সিটু পরিচালিত টোটো ইউনিয়ন প্রতিবাদ মিছিল ও পুরসভার সামনে বিক্ষোভ, স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি করে। কয়েকদফা দাবি জানিয়ে দু’শতাধিক টোটোচালক রায়গঞ্জ স্টেশন থেকে মিছিল করে পুরসভা পর্যন্ত যান। এদিনও তাঁদের মূল দাবি ছিল, পুর কর্তৃপক্ষ টোটো নিয়ে আগের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিক। কিছু পরামর্শও দেওয়া হয়েছে স্মারকলিপিতে। সেখানে উল্লেখ করা হয় কর্ণজোড়া, সোনাপুর, বারোদুয়ারির দিক থেকে আসা টোটো চালকদের রুট বেঁধে দেওয়া হোক ঘড়িমোড় পর্যন্ত। রূপাহার, বিরঘই, তাহেরপুর, দেবীনগর, কলেজপাড়ার টোটো চালকদের পুর বাসস্ট্যান্ড বা স্টেশন পর্যন্ত রুট করে দেওয়া হোক। একইভাবে বাহিন, সুভাষগঞ্জ এলাকার টোটো চলাচল করুক বিনায়ক হোটেল পর্যন্ত।
সিটু সমর্থিত উত্তর দিনাজপুর জেলা টোটো চালক ইউনিয়নের যুগ্ম আহ্বায়ক নীলকমল সাহা, জীবানন্দ সিংহরা বলেন, আমরাও রায়গঞ্জ শহরে যানজট চাইছি না। তবে সব সমস্যা টোটোর জন্য এমনটা নয়। যানজটের জন্য সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থার অভাব দায়ী। এছাড়া পুর বাসস্ট্যান্ড স্থানান্তর, পুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন লেভেল ক্রসিংয়ের সমস্যা মেটানো, টোটোর রুট ভাগ করে দেওয়ার মতো পদক্ষেপ পুরসভা, প্রশাসন কেউই নেয়নি। যানজটের জন্য শুধুমাত্র টোটোকে দায়ী করা হচ্ছে। দাবি পূরণ না হলে বড় আন্দোলনের পথে যাব আমরা।
টোটো নিয়ে বৈঠক শেষে রায়গঞ্জ পুরসভার প্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে টোটো নিয়ে নতুন নিয়ম লাগু করতে রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী, মহকুমা শাসকের প্রতিনিধি হিসেবে এক আধিকারিক, রায়গঞ্জ থানার আইসি, ট্রাফিক গার্ডের ওসি, বণিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের বৈঠক হয়। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী জানুয়ারির এক তারিখেই নয়া নিয়ম লাগু হচ্ছে। শহরের টোটোচালকদের চিহ্নিত করতে ১ হাজার ৪৬২ টি ফর্ম দেওয়া হয়েছে। ফর্ম জমা দিয়েছেন ১ হাজার ২৯১ জন।
বৈঠক শেষে রায়গঞ্জের বিধায়ক বলেন, শুধু শহরবাসী নয়, টোটোচালকদের জন্যও আমরা চিন্তিত। সকলের স্বার্থেই টোটো নিয়ে নয়া নিয়ম লাগু হয়েছে। এরপর শহর লাগোয়া গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে বলব গ্রামের টোটোগুলির রেজিস্ট্রেশন করানোর জন্য। টোটো চালকদের নয়া নিয়মে যদি খুব অসুবিধা হয়, ভবিষ্যতে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।