পারিবারিক সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারার প্রচেষ্টায় সাফল্য পাবেন। ব্যবসায় লগ্নি বৃদ্ধির সম্ভাবনা । শরীর একপ্রকার থাকবে। ... বিশদ
চাঁচলের তৃণমূল বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ বলেন, এই ধরনের ঘটনা একেবারেই বাঞ্চনীয় নয়। এই কার্নিভাল চাঁচলের মানুষের কাছে একটা আবেগ। সরকারি আধিকারিকরাও এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। আজ যা হয়েছে, সবটাই পুলিসের ব্যর্থতা।
বছরের শেষদিনে চাঁচল শহরের প্রাণকেন্দ্র তরলতলা এলাকায় কার্নিভালের আয়োজন করা হয়েছে। পরিচালনার জন্য নির্দিষ্ট কমিটি থাকলেও কার্নিভালের নেপথ্য ভূমিকায় বিধায়ক নীহাররঞ্জন। ইংলিশবাজারে মূলত তাঁর হাত ধরেই কার্নিভাল শুরু হয়।
তরলতলার প্রধান সড়কের ধারে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে হয়েছে সৌন্দর্যায়ন প্রকল্প। পাশেই কার্নিভালের জন্য ওই এলাকা ঘিরে বেশকিছু খাবারের স্টল বসানো হয় প্রতি বছর। সেই স্টল বসানোকে কেন্দ্র করেই বিবাদের সূত্রপাত। অভিযোগ, রবিবার স্টল বসানো নিয়ে আপত্তি জানান পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ অঙ্কুর পোদ্দার ও তাঁর অনুগামীরা। তাঁদের মনোমালিন্য শুরু হয় কার্নিভাল কমিটির সঙ্গে। সমস্যা মেটাতে দু’পক্ষকে নিয়ে রবিবার রাতেই থানায় আলোচনায় বসে পুলিস। বৈঠকের পর রাতে পুলিস গিয়ে স্টলের জায়গা নির্দিষ্ট করে দেয়। সোমবার সকালে দোকান তৈরির কাজ শুরু হলে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাধা দেন তৃণমূল নেতা ও পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ অঙ্কুর পোদ্দার। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বেশকিছু সমর্থক। তবে তাঁদের আপত্তি উপেক্ষা করেই স্টল তৈরির কাজ চালিয়ে যায় কার্নিভাল কমিটি।
এরপরেই কার্নিভাল কমিটির সদস্য ও ব্লক তৃণমূলের সহ সভাপতি তথা দলের শ্রমিক সংগঠনের ব্লক সভাপতি অমিতেষ পান্ডে, স্থানীয় তৃণমূল উপপ্রধান মুক্তার হোসেন ও তাঁর অনুগামীদের সঙ্গে পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ এবং টিএমসিপি’র সমর্থকদের একাংশের গোলমাল বেধে যায়। কথা কাটাকাটির পর বিষয়টি একসময় হাতাহাতি থেকে সংঘর্ষের রূপ নেয়।
অঙ্কুরের দাবি, সকলেই চাইছিলেন সৌন্দর্যায়ন হোক। কিন্তু কার্নিভাল কমিটি ক্ষমতার জোরে সেসব ঢেকে দিয়ে কাজ করছিল। বাধা দেওয়ায় ওরা ক্ষমতা প্রয়োগ করে।
কমিটির মূল দায়িত্বে থাকা চাঁচল-১ ব্লক তৃণমূল কমিটির সহ সভাপতি অমিতেষ আবার এলাকায় বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষের অনুগামী বলেই পরিচিত।
দিনের ব্যস্ততম সময়ে রাস্তায় প্রকাশ্যে শাসকদলের দু’পক্ষের হাতাহাতিতে এলাকায় উত্তেজনা ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জ করে পুলিস। পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি জাকির হোসেনের দাবি, আমাদের সৌন্দর্যায়নের কাজ ওদের সহ্য হচ্ছে না। তাই সেটি ঢেকে ফুডকোর্ট করছে। বাধা দিতে গিয়ে হামলার মুখে পড়তে হয় আমাদের।