যে কোনও উত্তেজনাকর পরিস্থিতি এড়িয়ে চলতে চেষ্টা করুন। বিবাদ বিতর্কে জড়িয়ে পড়তে পারেন। কাজকর্মে উন্নতির ... বিশদ
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, চা বাগানে পাট্টা প্রাপকের সংখ্যা ছিল ৮৩৭৮ জন। এর মধ্যে ব্লকের তরফে সমীক্ষা চালিয়ে চা সুন্দরী এক্সটেনশন প্রকল্পের জন্য ১২৩ জনকে বাতিল করা হয়। ৮২৫৫ জনকে চা সুন্দরী প্রকল্পে ঘরের টাকা দেওয়া হবে বলে চূড়ান্ত হয়। তারমধ্যে এখনও পর্যন্ত ৮১১৯ জন উপভোক্তার ক্ষেত্রে সমীক্ষার কাজ শেষ করতে পেরেছে প্রশাসন। পরবর্তী ধাপ হিসেবে ব্লক প্রশাসনের তরফে ৭৯৮৯ জনের নাম পাঠানো হয়। তারই ভিত্তিতে ওই উপভোক্তাদের নামের তালিকার অনুমোদন দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
জেলায় মোটামুটি সব ব্লকেই চা বাগান রয়েছে। ফলে প্রতিটি ব্লক থেকেই চা শ্রমিকরা এই প্রকল্পে বাড়ি তৈরির টাকা পাচ্ছেন। তবে সবথেকে বেশি উপভোক্তা রয়েছে মেটেলিতে ১৬৩০ জন। তার পরেই রয়েছে নাগরাকাটা ব্লক, ১৪৮৪ জন। মাল ব্লকে ১৩৭৯ জন, বানারহাট ব্লকে ১৩৬৭ জন, জলপাইগুড়ি সদর ব্লকে ১০২৭ জন, ক্রান্তি ব্লকে ৬২১ জন, রাজগঞ্জ ব্লকে ৬২০ জন প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। উপভোক্তার সংখ্যা সবচেয়ে কম ময়নাগুড়িতে, মাত্র ১২৭ জন।
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, চা সুন্দরী প্রকল্পে প্রথম কিস্তির টাকা ছাড়ার ক্ষেত্রে রাজগঞ্জ, মেটেলি, বানারহাট ও নাগরাকাটা ব্লক খানিকটা পিছিয়ে রয়েছে। অন্যদিকে, দ্বিতীয় কিস্তির টাকা ছাড়ার ক্ষেত্রে জলপাইগুড়ি সদর, ক্রান্তি, রাজগঞ্জ এবং মেটেলি কিছুটা পিছিয়ে। দ্রুত তাদের টাকা ছাড়তে বলা হয়েছে। প্রথম কিস্তির ক্ষেত্রে মাল, ময়নাগুড়ি ও জলপাইগুড়ি সদর অবশ্য ১০০ শতাংশ টাকা ছেড়ে দিয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, দ্বিতীয় কিস্তির ক্ষেত্রে ৯৪ শতাংশ টাকা ছেড়েছে মাল ব্লক। ৮২ শতাংশ টাকা ছেড়েছে ময়নাগুড়ি। বানারহাট ও নাগরাকাটা ব্লক টাকা ছেড়েছে ৮১ শতাংশ এবং ৭৭ শতাংশ। জলপাইগুড়ি সদর, ক্রান্তি, রাজগঞ্জ এবং মেটেলি ব্লক আরও কম টাকা ছেড়েছে।