চিকিৎসাশাস্ত্রের অধ্যয়নে বিশেষ উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। কর্মস্থল পরিবর্তন ও উপার্জন বৃদ্ধির সম্ভাবনা। মনে অস্থিরতা। ... বিশদ
৩৬তম জলপাইগুড়ি জেলা বইমেলার আসর বসেছে ময়নাগুড়িতে। রবিবার মেলা শেষ হচ্ছে। তাই শনিবার জলপাইগুড়ি জেলা বইমেলায় শিঙিমারী চন্দ্রদেব হাইস্কুলের শিক্ষকরা একাদশ শ্রেণির ছাত্রীদের নিয়ে আসেন। স্কুলের ইংরেজির শিক্ষক কৃষ্ণ অধিকারী বলেন, বইয়ের প্রতি ভালোবাসা বাড়িয়ে তোলার লক্ষ্যেই ছাত্রীদের নিয়ে আমরা বইমেলায় এসেছি। ওই স্কুলের ছাত্রী সুস্মিতা রায়, সন্তোষী দত্ত, পল্লবী রায়, পপি রায়,অনুপমা রায়, মৌ শীল বইমেলায় এসে ভীষণ খুশি। তাদের কথায়, আমরা চাই ময়নাগুড়িতে এরকম বইমেলা প্রতিবছর হোক। দুপুরে মেলা প্রাঙ্গণের এসে ময়নাগুড়ি সুভাষনগর হাইস্কুল ১৫ হাজার টাকার বই কিনেছে। স্কুলের গ্রন্থাগারিক উত্তমকুমার দে বলেন, পড়ুয়াদের পছন্দমতো আমরা স্কুলের জন্য বই কিনছি।
যদিও সন্ধ্যের পর বইমেলার মঞ্চ থেকে বড় বড় বক্সে গান বাজছে। শনিবারও এক রিয়েলিটি শোয়ের গায়িকা তাঁর দল নিয়ে পারফর্ম করেছেন। বক্সের বিকট আওয়াজ বই কিনতে এসে মনোসংযোগে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে পাঠকরা মনে করছেন। এদিকে কলকাতা থেকে আসা দুটি স্টলের প্রতিনিধি বক্সের আওয়াজ নিয়ে কিছু না বললেও অনুষ্টানের জেরে সন্ধ্যার পর স্টল ফাঁকা থাকার কথা মেনে নিয়েছেন। তাঁরা বলেন, দুপুরে স্কুলের বাচ্চারা এসে টুকটাক বই কিনছে। তবে সন্ধ্যের পর অনুষ্ঠানেই মূল ভিড় হচ্ছে। স্টল তখন ব্রাত্য। ফাঁকা স্টলে বসে সেটাই আমরা দেখছি। যদিও জেলা মেলার কার্যকরি সম্পাদক মনোজ রায় বলেন, পাঠকদের জন্য বইমেলা প্রাঙ্গণে উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে। রাতে খুবই মিষ্টি আওয়াজে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হচ্ছে। তাতে কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। শনিবার সন্ধ্যায় ফাঁকা বইমেলার স্টল। ময়নাগুড়িতে তোলা নিজস্ব চিত্র।