চিকিৎসাশাস্ত্রের অধ্যয়নে বিশেষ উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। কর্মস্থল পরিবর্তন ও উপার্জন বৃদ্ধির সম্ভাবনা। মনে অস্থিরতা। ... বিশদ
কালিন্দী নদীর পাড়ে তিওরপাড়া গ্রামে বাস প্রায় তিনশোর বেশি পরিবারের। কিন্তু ট্রাক্টরের আওয়াজে রাতে এখন তাঁরা ঘুমোতে পারছেন না। প্রায় গোটা দশেক ট্রাক্টরে রাতভর মাটি পাচার করা হয়। কালিন্দীর প্লাবনের পর পাড়ে অনেক মাটি জমেছে। জল কমতেই সেদিকে নজর পড়েছে মাফিয়াদের। কিন্তু ভূমি সংস্কার দপ্তরের তৎপরতায় দিনের আলোয় মাটি পাচার করা সম্ভব হচ্ছে না। স্থানীয়রা বলছেন, রাত বারোটার পর থেকে শুরু করে সকাল সাতটা পর্যন্ত চলে মাটি পাচার। প্রায় ৫০০ মিটার এলাকাজুড়ে এখন মাটি কাটা হচ্ছে। ট্রাক্টর চালকদের বারণ করা সত্ত্বেও কাজ না হওয়ায় বাধ্য হয়ে মানিকচক থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন বাসিন্দারা। স্থানীয় রোহিত চৌধুরীর অভিযোগ, গত এক মাস কালিন্দীর পাড়ে বালি, মাটি কাটা হচ্ছে। ট্রাক্টরের আওয়াজে ঘুম হয় না। অনেক সময় গবাদি পশুরা ভয় পেয়ে দড়ি ছিঁড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। আমার গরু তিনদিন আগে পালিয়েছে। ট্রাক্টর চালকরা প্রাণে মারার হুমকি দেয়। তাই থানার দ্বারস্থ হয়েছি।
মাটি কাটার ঘটনা স্বীকার করে নিয়েছেন নুরপুর পঞ্চায়েতের প্রধান মুকুন্দ সরকার। তাঁর কথায়, বিষয়টি শুনে এলাকা পরিদর্শন করেছি। ভূমি সংস্কার দপ্তরের অনুমোদন ছাড়াই রাতের অন্ধকারে মাটি কাটছে বেশকিছু লোক। প্রশাসনিক আধিকারিকদের জানিয়েছি। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মানিকচক ভূমি দপ্তরের আধিকারিক কৌশিক রায় বলেন, এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাইনি। নদী তীরবর্তী এলাকায় মাটি কাটার অনুমোদন দেওয়া হয়নি। আধিকারিকদের এলাকা পরিদর্শন করতে বলেছি। এখান থেকেই রাতের অন্ধকারে মাটি কাটার অভিযোগ উঠেছে।- নিজস্ব চিত্র