সোমনাথ চক্রবর্তী, ময়নাগুড়ি: মোবাইলে বুদ নতুন প্রজন্মের আগ্রহ বাড়ছে গল্পের বইয়ে। স্কুল ছুটির পর তাই দলে দলে তারা ভিড় করছে বইমেলায়। কারও পছন্দ তারানাথ তান্ত্রিক, কারও অলৌকিক সমগ্র। কেউ বা মন দিয়েছে ভূতের গল্পে। শুক্রবার বিকেলে মেলায় এসে ব্যাগ ভরে গল্পের বই কিনে নিয়ে গেল স্কুল পড়ুয়ারা। যা মুখে হাসি ফুটিয়েছে বই বিক্রেতাদের। ময়নাগুড়ি ফুটবল ময়দানে জেলা বইমেলার আসরে ভিড় দ্বিগুন হয়েছে বৃহস্পতিবারের পর থেকে। যার জেরে বিকিকিনি ভালো হচ্ছে জানিয়েছেন স্টলের প্রতিনিধিরা। পিঠে স্কুল ব্যাগ নিয়ে দুপুরে মেলা প্রাঙ্গণে ভিড় করে ময়নাগুড়ি গার্লস স্কুলের ছাত্রীরা। তাদের মধ্যে একাদশ শ্রেণির ছাত্রী অষ্টমী সাহা বলে, প্রথমদিন মেলায় এসেছিলাম। এদিন ফের বিভিন্ন স্টল ঘুরেছি। আমরা হনুমান চালিশা বই কিনেছি। বইমেলা টেনেছে কলেজ পড়ুয়াদেরও। কলেজ ছাত্রী রুমালা খাতুন বলেন, আমার রহস্যজনক গল্পের বই পড়তে ভালো লাগে। সে কারণে ওইরকম গল্পের বই কিনলাম।  ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, গত সোমবার থেকে শুরু হওয়া জলপাইগুড়ি জেলা বইমেলায় বুধবার পর্যন্ত বিভিন্ন লাইব্রেরী কর্তৃপক্ষ এসে বই কিনেছে। তবে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে সাধারণ মানুষ মেলায় ভিড় করছেন। ৩৬তম জলপাইগুড়ি জেলা বইমেলা এদিন দুপুর থেকেই ছিল ভিড়ে ঠাসা। বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের এবং কলেজের পড়ুয়াদের মধ্যে বই নিয়ে আগ্রহ দেখা গিয়েছে। কলকাতা থেকে আসা ব্যবসায়ী রূপকুমার মাইতি বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে পাঠকদের ভিড় দেখা যাচ্ছে। বইয়ের প্রতি মানুষের যে চাহিদা রয়েছে, সেটা বোঝা যাচ্ছে। আর এক স্টলের প্রতিনিধি রাজীব বৈদ্য বলেন, বিভিন্ন রহস্যজনক ও ভৌতিক বই ছাত্রছাত্রীরা কিনছে। নতুন লেখকের বইয়ের চাহিদা রয়েছে। সন্দীপ সরকার নামে এক স্টলের প্রতিনিধি বলেন, কিছুদিন ধরে বিভিন্ন লাইব্রেরী থেকে আসা কর্মীরা বই কিনেছেন। এদিন প্রচুর পাঠক এসেছেন। অনেকে কিনেছেন। অনেকে বইয়ের পাতা উল্টেপাল্টেও দেখেছেন। বইমেলার মঞ্চে দুপুরে বসেছিল কবিতার আসর। ময়নাগুড়ি ফুটবল ময়দানে বইমেলা চলবে ২২ তারিখ পর্যন্ত।
(বইমেলায় পড়ুয়ারা।-নিজস্ব চিত্র)