কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ
এবছর ঘোকসাডাঙা বই ও সংস্কৃতি মেলার পঞ্চম বছর। ঘোকসাডাঙা প্রামাণিক উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ৩০ ডিসেম্বর থেকে এই বইমেলা শুরু হয়ে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। বইমেলার পাশাপাশি মেলার ক’দিন হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রতিদিন মেলা প্রাঙ্গণে উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্টরা।
বই ও সংস্কৃতি মেলার উদ্বোধক হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহকে। প্রধান অতিথি হিসেবে থাকছেন কোচবিহারের পুলিস সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিখিলচন্দ্র রায়কে। মেলার চারদিন উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের শিল্পী সমন্বয়ে হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
৩০ ডিসেম্বর রয়েছে নাট্যোৎসব। পলাশবাড়ির ভাবনা নাট্যম-এর মহিলা দ্বারা পরিবেশিত ‘অনিন্দিত’, মাথাভাঙার গিলোটিনের ‘বাঃ আমি’ এবং ঘোকসাডাঙা সাংস্কৃতিক সম্প্রীতি সঙ্ঘের ‘একটি অবাস্তব গল্প’ নাটক পরিবেশিত হবে। পরের দিন ৩১ ডিসেম্বর ভাওয়াইয়া গান মঞ্চস্থ করবেন পদ্মশ্রী গীতা রায় বর্মন ও সুজিত রায়। সঙ্গে থাকবে উত্তরবঙ্গের লোকনৃত্য। তৃতীয়দিন ১ জানুয়ারি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে থাকছেন শিল্পী শুভঙ্কর দেবনাথ। শেষদিনে উত্তরবঙ্গের পরিচিত বাংলা ব্যান্ড আলিপুরদুয়ারের ‘কাঁচা মিঠা’ তাদের গান পরিবেশিত করবে।
মেলা কমিটির সভাপতি আবুল হোসেন বলেন, মেলাকে গৌরবময় করতে থাকছে পুরস্কার ও সম্মাননা প্রদান। কবি সুজিত অধিকারী সাহিত্য পুরস্কার, হাসান মাস্টার স্মৃতি পুরস্কার দেওয়া হবে। এবারে হাসান মাস্টার স্মৃতি পুরস্কার মাথাভাঙা-২ ব্লকের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও সমাজসেবা এই পাঁচটি বিভাগে পাঁচজনকে সম্মানিত করা হবে। এবারে নতুন একটি পুরস্কার যুক্ত হচ্ছে। এর নাম স্বস্তিকা দাস সরকার স্মৃতি পুরস্কার। এটি স্থানীয় তিনটি প্রাইমারি স্কুলকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, সৌন্দর্য ও নিয়মশৃঙ্খলা উপর ভিত্তি করে দেওয়া হবে। প্রতিবারের মতো এবারও থাকছে আঁকা প্রতিযোগিতা। পঞ্চম বছর বই ও সংস্কৃতি মেলার থিম ‘গাছ লাগাও’। অঙ্কন প্রতিযোগিতার তিনটি বিভাগেই তাই গাছের উপর আঁকার বিষয়বস্তু রাখা হয়েছে। আলিপুরদুয়ারের পানিঝোরা বই গ্রামের শিল্পীদের দ্বারা পরিবেশিত হবে উত্তরবঙ্গের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির মেলবন্ধনে সাংস্কৃতিক ও প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান।