কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ
সম্প্রতি বিমানবন্দর পরিদর্শনে গিয়ে এই দৃশ্য চাক্ষুষ করেছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। প্রশাসন জানিয়েছে, মালদহ বিমানবন্দরের আয়তন ১৫০ একর। এখানে ১০৫০ মিটার রানওয়ে তৈরি করা হয়েছে। বিমানবন্দরের প্রধান গেটটি পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোড়াপির অঞ্চলের মধ্যে। পিছনের কিছুটা অংশ রয়েছে পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ড এবং বাকিটা কাজিগ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে। কাজিগ্রামের দিকে বিমানবন্দরের কোনও সীমানা প্রাচীর নেই। ফলে বিশাল একটা অংশ উন্মুক্ত হয়ে আছে। বিমানবন্দরের সামনের লোহার গেটটি ভেঙে পড়ে আছে। বেশ কয়েক বছর হল পিছন দিকে কাজিগ্রামের দিকে থাকা গেটটিও খোলা। আর এই দুই গেটের মাঝে রয়েছে রানওয়ে। যে রানওয়ে এখন কাজিগ্রাম ও ঘোড়াপির অঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষাকারী রুটে পরিণত হয়েছে।
শুক্রবার সকালে বিমানবন্দরে গেলে রানওয়ের উপর দিয়ে অবাধ টোটো চলাচলের দৃশ্য চোখে পড়ে। রানওয়ের উপর দিয়ে টোটো চালাচ্ছেন কেন? জানতে চাইলে ওই টোটো চালক বলেন, এটা রানওয়ে তা আমার জানা ছিল না। কারণ এই জায়গাটা দেখেতে অনেকটা পিচের রাস্তার মতোই। এদিকে, এদিন রানওয়ের উপর দুই যুবককে মোটর বাইক নিয়ে স্টান্ট প্রাক্টিস করতে দেখা যায়। কেন তারা স্টান্ট করে রানওয়ে খারাপ করছেন? জানতে চাওয়া হলে ওই দুই যুবকের চটজলদি জবাব, এখানে রানওয়ে দিয়ে কী হবে? কোনওদিনই এখানে বিমান চলাচল করবে না। ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি।
রাতে বিমানবন্দরের ভিতরে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা নেই। হাতেগোনা কয়েকটি বাতিস্তম্ভ থাকলেও তা শুধুমাত্র মূল গেটের ১৫০ থেকে ২০০ মিটারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। ফলে জায়গাটি সমাজবিরোধীদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে। সন্ধ্যার পর ঝুঁকি নিয়ে বিমানবন্দরে প্রবেশ করলে নেশা ও জুয়ার আসর নজরে পড়বে।
ইংলিশবাজার পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার সুজিত সাহা বলেন, কেন্দ্রের অধীনে থাকা বিমানবন্দরে কোনও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। রাজ্য পুলিস রাতের দিকে মাঝেমধ্যে টহল দেয়। এত বড় বিমানবন্দরের মাঠে এমাথা থেকে ওমাথা দেখা যায় না। কোথায় কী হচ্ছে দূর থেকে বোঝার উপায় নেই। সন্ধ্যার পর এখানে সমাজবিরোধীদের আড্ডা বসে।
(রানওয়েতে চলছে টোটো।-নিজস্ব চিত্র)