যে কোনও কাজকর্মে সকালের দিকে বিশেষ উন্নতির যোগ। বিকেলের দিকে অবশ্য কিছু বাধা আসতে পারে। ... বিশদ
গত রবিবার পারো দেবীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। ছেলের চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ দেখতে পেয়েছিলেন বাসিন্দারা। পুলিস দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিক্যালে পাঠিয়েছিল। তাঁর মুখ, মাথা ও কানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। এরপর অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করে তদন্তে নেমে পুলিস মৃতের ছেলে ও ভাগ্নেকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। ইদানিং বোনের সঙ্গে জমি ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে বিবাদ চলছিল পারোর। অতুল ঘটনার মোড় ঘোরাতে জেরার সময় মায়ের খুনের পিছনে সেই বিবাদের ঘটনার কথা বলেছিল। তখনই সন্দেহ হয় পুলিসের। মায়ের সঙ্গে ছেলে একঘরে থাকার পরেও কী করে বাইরে থেকে কেউ ঢুকে তাঁকে খুন করল সেই প্রশ্নই ভাবাচ্ছিল পুলিসকে। অতুলের কথায় একাধিক অসঙ্গতি থাকায় জেরা চালিয়ে যান আধিকারিকরা।
দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিসের কাছে অতুল স্বীকার করে মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে ফিরে টাকা চাওয়ায় মায়ের সঙ্গে মাঝরাতে ঝামেলা হয় তার। এরপর তাঁকে মারধর করলে মৃত্যু হয়। পুলিসের দাবি, মাঝেমধ্যেই মায়ের সঙ্গে টাকাপয়সা নিয়ে ঝামেলা হতো অতুলের। এমনকি মায়ের মৃত্যুর পরেও ভোররাতে বাড়ির অদূরে গিয়ে মদ্যপান করে সে। পুলিস ধৃতের গতিবিধি জানতে সেই দোকানদারকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে। পুলিস জানতে পেরেছে, সকালে আত্মীয়দের ফোন করে খুনের কথা লুকিয়ে মায়ের মৃত্যুর আশঙ্কা প্রকাশ করে অতুল। মৃতের পরিজনের সঙ্গে কথা বলে পুলিস জানতে পারে কয়েক মাস আগে পারো কয়েক কাঠা জমি বিক্রি করে পাকা বাড়ি করছিলেন। মেয়েদের কিছু টাকা দেওয়ার পরেও ব্যাঙ্কে লক্ষাধিক টাকা ছিল। তার নমিনি ছিল অতুল। স্থানীয়দের দাবি, অতুল অধিকাংশ সময় নেশাগ্রস্ত অবস্থায় থাকত। জমানো টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্যও খুন করে থাকতে পারে।