যে কোনও কাজকর্মে সকালের দিকে বিশেষ উন্নতির যোগ। বিকেলের দিকে অবশ্য কিছু বাধা আসতে পারে। ... বিশদ
আবহাওয়ার এই বৈচিত্রময় চরিত্রের জন্য বঙ্গোপসাগরে সম্প্রতি তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড়কে দায়ী করছেন সিকিমের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের আধিকারিক গোপীনাথ রাহা। সোমবার তিনি বলেন, অক্টোবর মাসে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’র পরোক্ষ প্রভাবে শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের আকাশ থেকেও সব মেঘ সরে যায়। তারপর বেশকিছু দিন ধরে শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের আকাশে ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে না। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবও নেই। বঙ্গোপসাগরের উপর সম্প্রতি যে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছিল তাতে সব মেঘপুঞ্জ টেনে নিয়েছে। আকাশ পরিষ্কার থাকায় সূর্যের কিরণ সরাসরি ভূপৃষ্ঠে আসছে। এ কারণেই সকাল থেকে সারাদিন গরম। সূর্য অস্ত যাওয়ার পর তাপ বিকিরণ হতে শুরু করে। রাতে তাপ বিকিরণ হওয়ায় ঠান্ডা বাড়তে থাকে। আর তাই দিনের বেলায় গরম, রাতের বেলা ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।
তবে আগামী ৬ ডিসেম্বর থেকে আবহাওয়া পরিবর্তনের পূর্বাভাস রয়েছে বলে জানান গোপীনাথ রাহা। বলেন, শুক্রবার থেকে কয়েক জায়গায় হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। পাহাড়ে তুষারপাত হতে পারে। আবহাওয়ার এই পরিবর্তন শুরু হলে দিনে আর গরম থাকবে না। সারাদিনই ঠান্ডা অনুভূত হবে। ক্রমশ তাপমাত্রার পারদ নামতে শুরু করে শীত নামবে।
এদিকে, এই আবহাওয়া এবং ধুলোবালির জন্য সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট, গলাব্যথার সমস্যা ঘরে ঘরে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এ ধরনের সমস্যা নিয়ে বেশি রোগী আসছেন চেম্বারে, সরকারি হাসপাতালের আউটডোরে। শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের সুপার ডাঃ চন্দন ঘোষ ও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের শিশু বিভাগের প্রধান ডাঃ মধুমিতা নন্দী বলেন, সকালে বেরিয়ে যাঁদের বাড়ি ফিরতে রাত হয় তাঁদের সঙ্গে গরম জামাকাপড় রাখতে হবে। বাড়ির বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করা দরকার। রাতে কোনওভাবেই ঠান্ডা লাগানো যাবে না। তারজন্য শিশুদের সারাক্ষণ গরম জামাকাপড় পরিয়ে রাখারও দরকার নেই। সুস্থ থাকার জন্য সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
গরম পোশাকের পসরা সাজিয়ে ব্যবসায়ী। শিলিগুড়ির ভুটিয়া মার্কেটে। - নিজস্ব চিত্র।