যে কোনও কাজকর্মে সকালের দিকে বিশেষ উন্নতির যোগ। বিকেলের দিকে অবশ্য কিছু বাধা আসতে পারে। ... বিশদ
স্থলবন্দরের সুপার রতন কুমার রায়ের কথায়,বাংলাদেশে অস্থিরতার জন্য কিছুটা রপ্তানি কমেছে। আগের মতো রপ্তানি এখন আর হচ্ছে না।
আগস্টের গোড়া থেকে অশান্তি বেড়েই চলেছে প্রতিবেশী রাষ্ট্রে। তার সরাসরি প্রভাব খুব একটা পড়ছে না এদেশে। তবে বাংলাদেশ সীমান্তের মহদিপুর স্থলবন্দরে আগের থেকে অনেকটাই কমে গিয়েছে গাড়ির সংখ্যা।
মালদহ মার্চেন্টস চেম্বার অফ কমার্সের সাধারণ সম্পাদক উত্তম বসাক বলেন, বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের ফলে রপ্তানি ব্যবসা ক্রমশ খারাপের দিকে যাচ্ছে। আশা করছি দ্রুত শান্তি ফিরে আসবে। রপ্তানি ব্যবসা আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে দুই দেশের সরকারকেই অনুরোধ করব।
রপ্তানিকারকরা জানাচ্ছেন, আগস্ট মাসের আগে এই মহদিপুর স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে চারশো থেকে সাড়ে চারশো গাড়ি বাংলাদেশে যেত। এখন সেই সংখ্যা কমে প্রায় অর্ধেক হয়েছে। এপ্রসঙ্গে মহদিপুর এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক হৃদয় ঘোষের মন্তব্য, বাংলাদেশের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। গোটা দেশ খুব সঙ্কটের মধ্যে আছে। এর জেরেই রপ্তানি ব্যবসা মার খাচ্ছে।
বাংলাদেশ তাদের বিভিন্ন প্রয়োজনে ভারতের ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী এদেশ থেকেই রপ্তানি করা হয়। মহদিপুর স্থলবন্দর দিয়ে মূলত আলু, পেঁয়াজ, পাথর ইত্যাদি পাঠানো হয়। বাংলাদেশে রপ্তানিকারক ভূপতি মণ্ডল বলেন, আগে মহদিপুর বন্দরে প্রতিদিন গড়ে ২৫ কোটি টাকার ব্যবসা হতো। ওপারে বর্তমান পরিস্থিতির জেরে সেটা ১০ থেকে ১৫ কোটিতে নেমে এসেছে।
সোমবার সকালে মহদিপুর স্থলবন্দরে গিয়ে চেনা ভিড় দেখা যায়নি। দু’পার থেকে কিছু মানুষ সীমান্ত পার করছেন। স্থলবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন মহদিপুর বন্দর দিয়ে মাত্র শ’খানেক মানুষ যাতায়াত করেছেন। এই সংখ্যাটা আগে তিনশো পেরিয়ে যেত।
এদিন ওপার থেকে মহদিপুর স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে আসেন বাংলাদেশের বাসিন্দা শ্রীমন্তকুমার সাহা। তিনি বলেন, পালাবদলের জেরে অশান্ত হয়ে আছে দেশ। চিকিৎসা করাতে ভারতে এসেছি। জানি না দেশের পরিস্থিতি কবে আবার আগের মতো স্বাভাবিক হবে। পরিস্থিতি খুব খারাপের দিকে এগচ্ছে। চেনা ভিড় নেই মহদিপুরে। - নিজস্ব চিত্র।