যে কোনও কাজকর্মে সকালের দিকে বিশেষ উন্নতির যোগ। বিকেলের দিকে অবশ্য কিছু বাধা আসতে পারে। ... বিশদ
মালদহের মানিকচকের প্রত্যন্ত গ্রাম পশ্চিম নারায়ণপুর কলোনির শতায়ু রসিক মণ্ডল খুনের অভিযোগে জেল খেটেছেন ৩৬ বছর। বয়সজনিত কারণে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গত ২৯ নভেম্বর ছাড়া পেয়েছেন তিনি। এরপর তাঁকে দিতে হবে না কোনও হাজিরা। ফিরতে হবে না জেলে।
সোমবার দুপুরে জেলবন্দি রসিকবাবুর বাড়ি গিয়ে দেখা গেল খুশির বন্যা। নথিপত্রের কাজ শেষে কখন ফিরবেন তিনি, বারবার খোঁজ নিতে আসছেন গ্রামবাসীরাও। মেজো ছেলে উত্তমের বাড়িতেই থাকছিলেন আরতী। রসিকবাবুর চার ছেলে ও আট নাতি, নাতনি। বড় ছেলের মৃত্যুর পর বাকিরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছেন রসিকবাবুকে বাড়ি ফিরিয়ে আনতে। বারবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েও জামিন মেলেনি বলে দাবি তাঁদের। ‘নতুন’ জীবনে ফেরা প্রসঙ্গে রসিকের মন্তব্য, নির্দোষ ছিলাম। জানতাম একদিন ছাড়া পাব। তবে জীবনের শেষ বয়সে মুক্তি পেয়ে যতদিন বাঁচব, পরিবারের পাশে থাকতে চাই।
৩৬ বছর আগে এক খুনের ঘটনায় নাম জড়ায় রসিকবাবুর। রাতের অন্ধকারে বাড়িতে ঢুকে রসিকবাবুর ভাই সুরেশকে গুলি করে হত্যা করা হয়। সেই সময় জমি নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে বিবাদ চলছিল। মৃতের পরিবার দাবি করেছিল দাদা রসিকই খুন করেছেন। মানিকচক থানায় রসিকসহ কয়েকজনের নামে খুনের অভিযোগ দায়ের হয়। রসিক ও মথুরাপুরের বাসিন্দা জীতেনকে গ্রেপ্তার করে মানিকচক থানার পুলিস। সেইসময় থেকে জেলবন্দি দশা শুরু রসিকবাবুর। মাঝে কয়েকবার জামিন পেলেও শেষে স্থায়ী ঠিকানা হয়ে দাঁড়ায় মালদহ জেলা সংশোধনাগার। কিন্তু হাল ছাড়েনি রসিকবাবুর ছেলে ও তাঁদের সন্তানরা। আইনের দরজায় বারবার ঘুরে অবশেষে ফল পেয়েছেন তাঁরা।