যে কোনও কাজকর্মে সকালের দিকে বিশেষ উন্নতির যোগ। বিকেলের দিকে অবশ্য কিছু বাধা আসতে পারে। ... বিশদ
পাড়ায় পাড়ায় রাস্তা আটকে পারিবারিক অনুষ্ঠানের প্যান্ডেল তৈরির ঘটনা শহরে ক্রমশ যে বাড়ছে, তা স্বীকার করেছেন ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার। তিনি বলেন, আমাদের নজরেও বিষয়টি এসেছে। বারবার শহরবাসীকে আবেদন জানিয়েছি, কেউ বাড়ির সামনে রাস্তায় পারিবারিক অনুষ্ঠান করতে চাইলে কাউন্সিলারের মতামত ও পরামর্শ নিয়েই যেন করেন। তাতেও দেখছি এলাকার মানুষ এই ব্যাপারে সচেতন হননি। খোঁজ নিয়ে দেখেছি, কাউন্সিলারকে না জানিয়ে অনেকে বেপরোয়াভাবে রাস্তা আটকে প্যান্ডেল করছেন। কিন্তু, আনন্দ অনুষ্ঠান বলেই আমরা মাঝপথে পদক্ষেপ করি না। আবার কাউন্সিলারদের সঙ্গে বসব। যাতে রাস্তা আটকে প্যান্ডেল করা শুরু হলেই তাঁরা পদক্ষেপ করেন।
গত শুক্রবার থেকে শিলিগুড়ি সূর্য সেন পার্কের সামনে একটি রাস্তায় প্যান্ডেল নিয়ে এলাকার মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সূর্য সেন পার্ক থেকে দশরথপল্লি যাওয়ার প্রধান রাস্তা আটকে প্যান্ডেল তৈরি হয়েছে। এই প্যান্ডেলের জন্য সূর্য সেন পার্ক থেকে দশরথপল্লি যেতে এলাকার মানুষকে ঘুরপথে যাতায়াত করতে হয়। তাই-ই নয়, জরুরী পরিস্থিতিতে অ্যাম্বুলেন্স, দমকলের ইঞ্জিনও ঢুকতে পারবে না এধরনের প্যান্ডেলের জন্য। রাস্তা আটকে এভাবে পারিবারিক অনুষ্ঠানের প্যান্ডেল করার প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় এলাকার কাউন্সিলার থেকে পুরসভা আধিকারিকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
যদিও এ ধরনের প্যান্ডেল করে পারিবারিক অনুষ্ঠান করার ক্ষেত্রে অনেকেই জানিয়েছেন, ভবন ভাড়া করার মতো আর্থিক সঙ্গতি নেই। সে কারণেই তাদের রাস্তার উপর প্যান্ডেল করে বিয়ে, অন্নপ্রাশন, জন্মদিন, শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করতে হয়। সেক্ষেত্রে যাতায়াতের রাস্তা ছেড়েই প্যান্ডেল করা হয়।
যদিও বাস্তবে তা দেখা যায়নি। এই পরিস্থিতিতে নাগরিকদের আবেদন, সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যে ভবন ভাড়ার ব্যবস্থা হলে কেউ রাস্তা আটকে প্যান্ডেল করবেন না। এ ব্যাপারে পুরসভার কমিউনিটি হল বা স্বল্পমূল্যে ভাড়ার ভবন তৈরির জন্য তাঁরা পুরসভার উদ্দেশ্যে আবেদন জানিয়েছেন। ফাইল চিত্র।