যে কোনও কাজকর্মে সকালের দিকে বিশেষ উন্নতির যোগ। বিকেলের দিকে অবশ্য কিছু বাধা আসতে পারে। ... বিশদ
দার্জিলিং পাহাড় মানেই চা ও কমলা। এই দু’টি পাহাড়ের অর্থকারী ফসল। এবার এখানেই আধুনিক পদ্ধতিতে শুরু হয়েছে সব্জিচাষ। ইতিমধ্যে দার্জিলিং-পুলবাজার এবং কার্শিয়াং ব্লকে প্রচুর জমিতে চাষ হয়েছে লেটুস, মাশরুম, জুকিনি, পাক চই, হাইব্রিড ব্রোকলি ও চীনা বাঁধাকপি। প্রশাসন সূত্রে খবর, ২০২২-’২৩ আর্থিক বছর এখানে মাশরুমের ছ’টি ইউনিট গড়া হয়। প্রতিটি ইউনিট ১০০০ বর্গমিটার জমিতে গঠিত। সেগুলি বাঁশ, চট ও পলিথিন দিয়ে তৈরি। দু’মাসের মধ্যে ইউনিটগুলি থেকে পাঁচবার ওঠে মাশরুম। তা রপ্তানি করে প্রতিবারে আয় ৮০ হাজার থেকে এক লক্ষ টাকা করে। এজন্যই পাহাড়ে মাশরুমের ইউনিটের বেড়েছে।
দার্জিলিং জেলা উদ্যানপালন দপ্তরের আধিকারিক দেবজিৎ বসাক বলেন, রাজ্য সরকারের নির্দেশ মতো দু’বছর আগে ছ’জনকে বুঝিয়ে মাশরুমের ছ’টি ইউনিট খোলা হয়। প্রথমবার ওই কৃষকরা ব্যাপক লক্ষ্মীলাভ করেন। তা দেখে ২০২৩-’২৪ আর্থিক বছর ১২ জন এবং ২০২৩-’২৪ আর্থিক বছর ১৩ জন কৃষক ইউনিট গড়েন। এখানকার উৎপাদিত মাশরুম কলকাতা, দিল্লি, ত্রিপুরা সহ বিভিন্ন জায়গায় পাড়ি দিচ্ছে।
শুধু মাশরুম নয়, এখন পাহাড়ে গ্রিন হাউস পদ্ধতিতে লেটুস, পাক চোই, জুকিনি, ব্রোকলি ও চীনা বাঁধা কপির চাষাবাদ হচ্ছে। আড়াই থেকে তিন মাসের মধ্যে ফলছে সব্জি। বিভিন্ন রাজ্যে রপ্তানি হচ্ছে। এতে তিন মাসে আয় প্রায় ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা। জেলা উদ্যানপালন দপ্তরের আধিকারিকররা জানান, মাশরুম সহ বিভিন্ন ধরনের সব্জি মিলিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে কৃষক পাচ্ছেন ৪০ লক্ষেরও বেশি টাকা।
প্রশাসন সূত্রের খবর, পাহাড়ে প্রায় ৩০ একর জমিতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে সব্জির চাষ হচ্ছে। তাতে গ্রিন হাউসের সংখ্যা প্রায় ১২০টি। এরসঙ্গে যুক্ত প্রায় ১০০ জন কৃষক। জেলা উদ্যানপালন দপ্তরের আধিকারিক বলেন, গ্রিন হাউসগুলি নির্মাণ করতে খরচ প্রায় ৪৫ হাজার টাকা। তাতে সরকার কৃষকদের প্রদান করছে ২২-২৩ হাজার টাকা। এরসঙ্গে চাষাবাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এতেই উৎসাহ বেড়েছে কৃষকদের মধ্যে। তাঁরা নিজেরাই সব্জি প্যাকেজিং করছে। বেসরকারি সংস্থার সহযোগিতায় তা বাইরে পাঠাচ্ছেন।