পত্নীর স্বাস্থ্যহানিতে চিন্তা বৃদ্ধি। পারিবারিক ক্ষেত্রে আত্মীয়দের সঙ্গে সম্পর্কে শীতলতা। কাজকর্মে উন্নতি ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রের নাম আব্দুর রহমান। তিনি কলকাতায় আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এমএসসির ছাত্র ছিলেন। আব্দুরের বাড়ি মালদহ জেলার বৈষ্ণবনগর থানা এলাকার শাহাবানচক গ্রাম পঞ্চায়েতের কালীনগর গ্রামে। তিনি নিউটাউনে বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলেই থাকতেন। সেখানে ঘর থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়।
মৃত ছাত্রের বাবা এজাবুল মিঁয়া বলেন, চার ভাইবোনের মধ্যে আব্দুর ছোট ছেলে। কলকাতায় আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিজিক্স নিয়ে স্নাতকোত্তরে ভর্তি হয়েছিল। খোলা মনের ছেলে ছিল সে। আমার সুস্থ, সবল ছেলে কোনওভাবে আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। ছোটবেলা থেকে পড়াশোনায় খুব ভালো ছিল। খেলাধুলোতেও অন্যদের চেয়ে এগিয়ে ছিল সে।
এজাবুল আরও জানান, সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফোন করে বলা হয় আমার ছেলে নাকি আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু বুঝতে পারছি না যে সে কোন কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নেবে। আমার ছেলে তো ভালো, নির্দোষ। আমার ধারণা তাকে খুন করা হয়েছে।
আলিয়া বিশ্বদ্যিালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার পারভীন আলম জানিয়েছেন, ওই ছাত্রটি হস্টেলে ঘরে একাই থাকত। দেহ উদ্ধারের সময় ভিতর থেকে সেটি লক করা ছিল। পরিবারের যদি কোনওরকম অভিযোগ থাকে, পুলিস তার তদন্ত করে দেখবে।
পরিবারের দাবি, ১৬ নভেম্বর আব্দুরের একটা পরীক্ষা ছিল। শনিবার শেষবার বাড়িতে ফোন করে বলে পরীক্ষা ভালো হয়নি। ২৫ নভেম্বর গাড়ি ধরে ২৬ নভেম্বর সকালে আব্দুরের বাড়ি ফেরার কথা ছিল বলে জানান এজাবুল।
পরিবারের তরফে আরও জানানো হয়, সোমবার বিকেল পাঁচটা ১৪ মিনিট নাগাদ আব্দুরের মোবাইলে ফোন করা হয়। কিন্তু বারবার তাঁর মোবাইল ফোনটি সুইচড অফ পাওয়া যায়। এরপর সন্ধ্যায় দুঃসংবাদ আসে বাড়িতে।
মৃতের মামা সামায়ুন শেখের কথায়, সোমবার আব্দুরের কলেজে একটা কবাডি প্রতিযোগিতা হয়। সেখানে ভাগ্নের দল চ্যাম্পিয়ন হয়। মালা পরে জয়োল্লাস করার ছবি সে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেছিল। এর মানে তো বেশ আনন্দেই ছিল। তাহলে হঠাৎ কেন আত্মহত্যা করতে যাবে। আমরা রাজারহাট থানায় অভিযোগ করেছি।
মঙ্গলবার মৃতের এক মামা কলকাতা রওনা হয়েছেন। বুধবার আব্দুরের দেহের ময়নাতদন্ত করা হবে।