পত্নীর স্বাস্থ্যহানিতে চিন্তা বৃদ্ধি। পারিবারিক ক্ষেত্রে আত্মীয়দের সঙ্গে সম্পর্কে শীতলতা। কাজকর্মে উন্নতি ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, প্রত্যেক জেলা তথা রাজ্যের ক্ষেত্রে চাষের নিরিখে নিজস্ব চাহিদা থাকে। তার ভিত্তিতেই কেন্দ্র সরকার ভর্তুকি যুক্ত সারের জোগান দেয় রাজ্যকে। কিন্তু এর মাঝে নির্ধারিত পরিমাণ ওই সার থেকেও যদি পাশের রাজ্যের চাষিরা সার সংগ্রহ করতে থাকে তাহলে অচিরেই জেলায় সারের সঙ্কট তৈরির আশঙ্কা রয়েছে। যদিও জেলা কৃষি আধিকারিক প্রিয়নাথ দাস বলেন, আমাদের সীমিত লোকবল নিয়ে আমরা যথাসাধ্য নজরদারি রেখে চলেছি। দোকানে দোকানে সারপ্রাইজ ভিজিট চলছে। সোমবার ইসলামপুর ও চোপড়ার সার ব্যবসায়ীদের নিয়ে সচেতনতামূলক একটি আলোচনা হয়েছে। তারপরও যেহেতু জেলার একদম গা ঘেঁষে রয়েছে বিহারের বেশকিছু এলাকা। সেখান থেকেও কিছু কৃষক এখানকার হাটে বাজারে আসছেন, সার নিয়ে যাচ্ছেন বলে শুনেছি। আমরা নজর রাখছি।
বিলাসপুরের এক সার ব্যবসায়ী বিশাল মৈত্র বলেন, আমাদের এলাকা একেবারে বিহার ঘেঁষা। মাত্র কয়েক কিলোমিটারের ব্যবধান। বিহারের খদ্দেরদের জন্যই আমাদের বিলাসপুর হাট জমজমাট হয়। তাই এই চত্বরে অন্তত ১০টি সারের দোকান রয়েছে। তারা এখানে ফসল বিক্রি করে ফেরার পথে সার নিয়ে যায়। তবে বিশালবাবু এনিয়ে সরাসরি মুখ খুললেও এলাকার অনেক সার ব্যবসায়ী বিষয়টির ব্যাপারে প্রকাশ্যে মন্তব্য করতে নারাজ। অনেকে আবার বলেন, সার স্থানীয় চাষিরাই ক্রয় করেন। দু’একজন বিহারের বাসিন্দা হয়ত কেনেন। বিলাসপুরের সার ব্যবসায়ী মুজিবর রহমান, বিনোদ আগরওয়াল বলেন, ভিনরাজ্য হলেও যাঁরা একদম বাংলার সীমানা ঘেঁষা এলাকায় থাকেন তাঁরা মাঝেমধ্যে আমাদের থেকে সার নিয়ে যান। এপ্রসঙ্গে অবশ্য ক্ষোভ জেলা কংগ্রেসের সভাপতি মোহিত সেনগুপ্তের গলায়। তাঁর কথায় এসব তো দেখার কথা পুলিস প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের। তারা গুরুত্ব দেয় না বলেই এই রাজ্যের জন্য বরাদ্দ সার পাশের রাজ্যে চলে যাচ্ছে। এতে এখানকার চাষিদের বেশি দামে সার কিনতে হচ্ছে। এরকম চলতে থাকলে আগামীতে সারের অভাব তৈরি হতে পারে।