পত্নীর স্বাস্থ্যহানিতে চিন্তা বৃদ্ধি। পারিবারিক ক্ষেত্রে আত্মীয়দের সঙ্গে সম্পর্কে শীতলতা। কাজকর্মে উন্নতি ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
সভাধিপতি বলেন, আমরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ের সৈনিক। তাঁর নির্দেশ মতোই মহকুমা পরিষদে আমরা আট সদস্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজকর্ম করছি। আমাদের মধ্যে কোনও বিভেদ নেই। সহাকারী সভাধিপতিকে একটি স্থায়ী সমিতির কাজকর্ম দেখতে বলা হয়েছে। এতে ক্ষমতার বিকেন্দ্রিকরণ হয়েছে। এনিয়ে কোনও দ্বিমত নেই। গ্রামীণ উন্নয়নে আরও গতি আসবে।
পদাধিকারবলে মহকুমা পরিষদের সমস্ত স্থায়ী সমিতির সদস্য সভাধিপতি ও সহকারী সভাধিপতি। কিন্তু আইন অনুসারে সমস্ত স্থায়ী সমিতির নথিপত্রে চূড়ান্ত পর্যায়ে স্বাক্ষর করার দায়িত্ব সভাধিপতির। সেখানে সহকারীর কোনও ভূমিকা নেই। তা হলেও সহকারী সভাধিপতিকে বাড়তি দায়িত্ব দেওয়ার দাবি বহুদিনের।
প্রশাসন সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে মহকুমা পরিষদে নতুন করে কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচন করতে গেলে অনাস্থা আনতে হবে। এতে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হতে পারে। কাজেই সেই পথে হাঁটেননি সভাধিপতি। পঞ্চায়েত দপ্তরের আধিকারিদের সঙ্গে আলোচনা করে তিনি খাদ্য সরবরাহ, শিশু ও নারী উন্নয়ন, জনকল্যাণ ও ত্রাণ স্থায়ী সমিতির কাজকর্ম তদারকির দ্বায়িত্ব ছেড়েছেন। এবার থেকে সেই দায়িত্ব পালন করবেন সহকারী। তবে সংশ্লিষ্ট স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ অপরিবর্তিত রয়েছেন। সভাধিপতি বলেন, এতদিন পর্যন্ত ওই স্থায়ী সমিতির রেজুলেশন সহ বিভিন্ন ফাইলে আমি স্বাক্ষর করতাম। এখন থেকে তা সহকারী সভাধিপতি করবেন।
সংশ্লিষ্ট স্থায়ী সমিতির দায়িত্ব পেয়ে রোমা রেশমি রীতিমতো উচ্ছ্বসিত। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তিনি ফাঁসিদেওয়া ব্লকে মহকুমার ৯ নম্বর আসন থেকে নির্বাচিত হন। তিনি এমএ পাশ। বাংলা সিনেমা ও টিভি সিরিয়ালে অভিনয় করেছেন। তিনি বলেন, আদিবাসী ছেলেমেয়েদের এগিয়ে আনাই লক্ষ্য। তাই সংশ্লিষ্ট স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সহ সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করেই খাদ্য সরবরাহ এবং নারী ও শিশুদের উন্নয়নে আরও জোর দেব।
সংশ্লিষ্ট স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ কুমুদিনী বরাইক ঘোষ। গত পঞ্চায়েত ভোটে তিনি ফাঁসিদেওয়া মহকুমা পরিষদের ৭ নম্বর আসন থেকে নির্বাচিত হন। সংশ্লিষ্ট স্থায়ী সমিতিতে মহকুমা পরিষদের সদস্য জ্যোতি তিরকি এবং মাটিগাড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রতিমা রায় সহ ৩০ জন সদস্য রয়েছেন। কর্মাধ্যক্ষ বলেন, নিয়মিত স্থায়ী সমিতির বৈঠক করে রেজুলেশনের ফাইল অনুমোদনের জন্য এখন থেকে সহকারীর কাছে পাঠাব। বোর্ডে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সভাধিপতি। এতে খুশি। আর আমি ও সহকারী একই ব্লকের বাসিন্দা। কাজেই স্থায়ী সমিতির কাজকর্ম করতে বাড়তি সুবিধা হবে।
প্রসঙ্গত, ফাঁসিদেওয়া বিধানসভা কেন্দ্র এসটিদের সংরক্ষিত। কাজেই ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের আগে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মেয়ে রোমার গুরুত্ব বৃদ্ধি নিয়ে জোরচর্চা শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের বক্তব্য, এখানে তৃণমূলের আদিবাসীমুখ নেই বললেই চলে। তাই বিধানসভা ভোটের আগে রোমাকে সামনের সামনের সারিতে তুলছে তৃণমূল। যদিও মহকুমা পরিষদের সদস্যদের বক্তব্য, বিষয়টি সঙ্গে বিধানসভা ভোটের কোনও সম্পর্ক নেই।