পত্নীর স্বাস্থ্যহানিতে চিন্তা বৃদ্ধি। পারিবারিক ক্ষেত্রে আত্মীয়দের সঙ্গে সম্পর্কে শীতলতা। কাজকর্মে উন্নতি ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
রাজ্য সরকারের যে কোনও প্রকল্পে আবেদন করা থেকে বিদ্যুৎ বিল জমা দেওয়া হোক কিংবা মিউটেশন ফি প্রদান, সব কাজই করা যায় বাংলা সহায়তা কেন্দ্র থেকে। শহর এলাকায় এই ‘এক জানালা পরিষেবা’ কেন্দ্রের মাধ্যমে ই-ট্রেড লাইসেন্স, ই-বিল্ডিং প্ল্যান এবং ই-মিউটেশনও করা যাচ্ছে। জলপাইগুড়ি জেলায় সবমিলিয়ে ৮৬টি বাংলা সহায়তা কেন্দ্র রয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, এরমধ্যে কিছু বিএসকে ভালো কাজ করলেও, বেশকিছু ‘দায়সারাভাবে’ চলছে। কোন কোন বিএসকে থেকে মানুষ পরিষেবা কম পাচ্ছে কিংবা কোন কেন্দ্রগুলিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ফি জমা কম হচ্ছে, তাদের চিহ্নিত করে এদিনের বৈঠকে ধমক দেন জেলাশাসক। বৈঠক শেষে তিনি বলেন, বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলিকে আরও সক্রিয়ভাবে কাজ করতে বলা হয়েছে। যেসব বিএসকে পিছিয়ে আছে, তাদের কাজে গতি আনতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যারা ভালো কাজ করবে, তাদের পুরস্কৃত করবে জেলা প্রশাসন।
অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) বলেন, বিএসকে’র মাধ্যমে মানুষ যাতে আরও বেশি করে রাজ্য সরকারের সামাজিক ও জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির সুবিধা পেতে পারেন, সেটাই লক্ষ্য আমাদের। পাশাপাশি বিএসকে’র মাধ্যমে ফি বাবদ রাজ্য সরকারের কোষাগারে কত রেভিনিউ জমা পড়ছে, সেটাও দেখছি আমরা।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রতিটি বাংলা সহায়তা কেন্দ্রে যাতে ডিজিটাল রেশন কার্ড, সবুজ সাথী, কৃষক বন্ধু, জাতিগত শংসাপত্র, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, তফসিলি বন্ধু, কর্মসাথী, জয় বাংলা, যুবশ্রী, গতিধারা এবং ঐক্যশ্রী প্রকল্পের কাজ ভালোভাবে হয়, সে ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এদিনের বৈঠকে। পাশাপাশি মানুষ যাতে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রে এসে বিদ্যুৎ বিল, মিউটেশন ফি জমা দিতে পারেন, সেটাও দেখতে বলা হয়েছে। শহরাঞ্চলের কেন্দ্রগুলিতে ই-ট্রেড লাইসেন্স, ই-বিল্ডিং প্ল্যান, ই-মিউটেশনের কাজেও জোর দিতে বলা হয়েছে।