পত্নীর স্বাস্থ্যহানিতে চিন্তা বৃদ্ধি। পারিবারিক ক্ষেত্রে আত্মীয়দের সঙ্গে সম্পর্কে শীতলতা। কাজকর্মে উন্নতি ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
দিনহাটা শহরের গোসানি রোড কদমতলা কালীমন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটে দু’দিন আগে। মন্দিরে থাকা সিসি ক্যামেরায় চুরির সেই দৃশ্য ধরা পড়ে। চোর মুখের পাশাপাশি গোটা শরীর চাদর দিয়ে ঢেকে রেখেছিল। যদিও মূর্তি থেকে মুকুট খুলে নেওয়ার সময় মুখের খানিকটা অংশ ক্যামেরায় ধরা পড়ে।
তদন্ত করতে নেমেই চোরদের পুরনো কৌশল খুঁজে দেখে পুলিস। এর আগেও একই কায়দায় চুরি করতে গিয়ে পাকড়াও হয়েছিল মজিদুল। দিনহাটা শহরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডেই তার বাড়ি। ফুটেজ দেখে সন্দেহ হওয়ায় মজিদুলের বাড়িতে হানা দেয় পুলিস। বাড়িতেই তার দেখা মেলে। পুলিসের জিজ্ঞাসাবাদে চুরির ঘটনা স্বীকার করে নেয় সে। চোরাই মাল কোচবিহারের ঘুঘুমারিতে এক স্বর্ণকারকে বিক্রি করার কথা জানায়। দ্রুত সেই দোকানে হানা দেয় পুলিস। ওই স্বর্ণকারের কাছ থেকে চুরি যাওয়া তিনটি মুকুট, তিনটি বাজুবন্ধ, দু’টি নূপুর, মুখচ্ছবি সহ একাধিক সামগ্রী উদ্ধার হয়। চোরাই মাল কেনার অভিযোগে তাকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিস।
মঙ্গলবার দিনহাটা মহকুমা পুলিস আধিকারিক ধীমান মিত্র বলেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে চুরির কিনারা করা গিয়েছে। গোটা দেহ চাদরে ঢেকে ওই অভিযুক্ত আগেও চুরি করেছিল। অভিযুক্তকে জেরা করে খোয়া যাওয়া সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে। চোরাই মাল কেনার জন্য এক স্বর্ণকারও পুলিসের হাতে ধরা পড়েছে।
ওই মন্দির কমিটির সদস্য দেবাশিস রায়, সানু সাহা বলেন, দ্রুত যেভাবে পুলিস এই চুরির ঘটনা কিনারা করেছে তা সাধুবাদযোগ্য। উদ্ধার হওয়া চোরাই সামগ্রী আমরা দেখেছি। ওসব আমাদের মন্দিরের প্রতিমায় ছিল। আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে ওসব নেওয়া হবে। পুলিসের এই সাফল্যের জন্য আমরা তাদের এদিন সংবর্ধিত করেছি।